ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না: ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা তাঁকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলো, তারাই ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলো তাদের জীবনেও ঘটেছে রক্তাক্ত বিদায়ের ট্র্যাজেডি। হত্যা হত্যাকেই ডেকে আনে। হত্যা কাউকে ক্ষমা করে না।
তিনি বলেন, করোনার মোকাবেলায় অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এই সংকটে সব রাজনৈতিক দলের একটাই রাজনীতি হওয়া উচিত মানুষকে বাঁচানো ও বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি পেশাজীবি সংগঠনগুলোকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা উচিত। একই সঙ্গে অসহায় মানুষের প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের উপযোগি জনশক্তি গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে গড়ে তুলতে হবে ডিজিটাল বিপ্লব এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগি কারগরি দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি। করোনা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রশিক্ষিত জনবলের চাহিদা তৈরি হবে। এই চাহিদার বিপরীতে দেশ যেন সর্বোচ্চ সুযোগ নিতে পারে, এটি এখনই ভাবতে হবে।
সরকার নাকি ষড়যন্ত্র করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিচ্ছে, বিএনপি নেতাদের এমন হাস্যকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি আগেও ভ্যাকসিন নিয়েও ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজেছিলো। ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন বাঁচাতেই সরকার করোনার এই সংকটে বন্ধ রেখেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাদের জীবন যদি না থাকে তাহলে শিক্ষিত হয়ে কি হবে? তাই আগে জীবন বাঁচাতেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
করোনাকালেও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি একটাই, তা হচ্ছে পালাক্রমে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার আর মিথ্যাচার করা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কৌশল হলো মায়াকান্না আর লিপসার্ভিস। অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে সরকার কোথায় কি অনিয়ম করছে বিএনপিকে তা স্পষ্ট করা উচিত। সবকিছুতে ষড়যন্ত্র খোঁজা বিএনপির স্বাভাবগত বৈশিষ্ট্যে রূপ নিয়েছে। জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতার কথা ভুলে গিয়ে বিএনপি নেতাদের মুখ দিয়ে অসত্যের প্রলাপ বের হওয়াই স্বাভাবিক।
শনিবার আইডিইবি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে “বঙ্গবন্ধুর ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল এডুকেশন দর্শন বাস্তবায়নে করণীয়” শীর্ষক আলোচনা এবং দুঃস্থদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইডিইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান প্রমুখ।
এস/এ