দুষ্টদের লালন-পালন ও পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া রাজনীতি নয়

রেজাউল করিম

দুষ্টদের লালন-পালন ও পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া রাজনীতি নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, আদর্শ ও জনকল্যাণে অবদানই রাজনীতির মূলমন্ত্র হওয়া উচিত। নীতির রাজাই হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতি হতে হবে পরিশীলিত ও পরিমার্জিত। রাজনীতির প্রতিপক্ষকে কখনো শত্রু ভাবা ঠিক নয়। শত্রুকে নিধন করতে হবে, সশরীরে মেরে ফেলতে হবে, এটা রাজনীতি হতে পারে না।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। রাজনীতির মৌলিক সত্তার জায়গায় দল-মত নির্বিশেষে এক হতে হবে।

তিনি বলেন, একটি পরিশীলিত, পরিমার্জিত, রূচিবান ও সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্ব ছিলেন শেখ কামাল। তিনি এ দেশের ক্রীড়াঙ্গন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও রাজনীতিতে অনন্য-আসাধারণ অবদান রাখতে পারতেন। অথচ পচাত্তরের ১৫ আগস্ট পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়ার জনক। বাঙালি সংস্কৃতিকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারা তিনি লালন ও চর্চা করতেন।

রাজনীতিতে তিনি নিজের জায়গা দখলের জন্য কখনো ক্ষমতার অপব্যবহারের মানসিকতা দেখাননি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শেখ কামাল সম্পর্কে বিরূপ কথা প্রচার করে পরিবারকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এটা ছিল জঘন্য মিথ্যাচার।

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছেন, নিজের যা কিছু সামর্থ্য, যা কিছু ভালো তা উৎসর্গ করে দিয়ে দেশের কল্যাণে ও মানুষের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করার নাম রাজনীতি।’

বঙ্গবন্ধু জীবনে কখনোই কালো টাকার মালিকদের রাজনীতিতে এনে পৃষ্ঠপোষকতা দেননি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিজের বিত্ত-বৈভব ও প্রাচুর্যের জন্য রাজনীতি নয়। মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দুঃখ-কষ্টের সাথী হওয়া, গোটা জাতির স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য, অসহায়ত্ব ও বৈষম্য দূর করার নাম রাজনীতি।’

বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও সংযুক্ত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ চৌধুরী প্রমুখ।
এস/এ