লকডাউনে শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া হটাকারিতা: ন্যাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক: শনিবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, কঠোর লকডাউন চলাকালে যখন গণপরিবহন বন্ধ, শ্রমিকরা যখন গ্রামের বাড়ীতে অবস্থান করছে। তখন গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়া সরকারের হটাকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।
তারা বলেন, গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার পর আর লকডাউন জারি রাখার কোনো অর্থ নেই। সরকারের উচিত লকডাউন তুলে দিয়ে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কঠোর হওয়া। ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া। সব গার্মেন্টস ও শিল্প-কাখানা কর্মীকেও টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
তারা আরও বলেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবেলায় যেহেতু লকডাউন সমাধান নয়, তাই গণটিকা কর্মসূচি আরও জোরদার করতে হবে। এখন যেভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে তাতে আগামী দুইবছরেও শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহন প্রয়োজন। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান টিকা কেন্দ্র চালু করে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। নিবন্ধন পদ্ধতি আরো সহজ করতে হবে।
তারা বলেন, টিকার নিবন্ধন ফরম তৈরী করে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কিংবা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সেগুলো বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে হবে। যাতে করে আগ্রহীরা ফরম দুটি পূরণ করে ভ্রাম্যমান কেন্দ্রে গিয়ে সহজেই টিকা নিতে পারেন।
তারা আরও বলেন, সরকারকে সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় করোনা চিকিৎসায় ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে হবে। তাহলেই জনগণের জীবনে স্বস্তি আসবে এবং জীবন রক্ষা পাবে।
এস/এ