আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুই দলের বোলাররাই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেষ মুহূর্তে ইনজুরির কারণে আসতে না পারা নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চসহ আট শীর্ষ তারকাকে ছাড়াই বাংলাদেশে খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। এবারের সিরিজে অসি দলে নেই সাত শীর্ষ তারকা স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিনস, মার্কাস স্টয়নিস, ঝিয়ে রিচার্ডসন এবং কেইন রিচার্ডসন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ আর সফরে আসেনি।
প্রায় চার বছর (তিন বছর ১০ মাস) পর আবার বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলো অস্ট্রেলিয়ানরা। এবার অবশ্য শুধু ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবে অসিরা। সেরা দল পায়নি অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ। কিন্তু দুই দলের এই সিরিজে বোলাররাই হতে পারে সবচেয়ে প্রভাবক।
পেস ও স্পিন বোলিং দুই বিভাগেই দুর্দান্ত ব্যালেন্সড অজিদের। তবে সাকিব-মুস্তাফিজদের নিয়ে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণও কোনো অংশে কম নয়। মিচেল স্টার্ক। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলার। অস্ট্রেলিয়া দলের স্ট্রাইক বোলার।
৩৯ টি-টোয়েন্টিতে বর্তমান দলে হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ উইকেট শিকারি এই বোলার ২০১৫ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপেরও নিয়েছিলেন সবচেয়ে বেশি উইকেট। বাংলার ব্যাটারদের ঘায়েল করতে অজিদের প্রধান অস্ত্রই হলেন মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান অস্ত্র স্টার্ক হলে বাংলাদেশের হয়ে আগুন ঝরাবেন মুস্তাফিজ। অন্তত এই ফরম্যাটে মিচেল স্টার্কের চেয়ে ঢের এগিয়ে কাটার মাস্টার।
৪৩ ম্যাচে ঈর্ষণীয় ৬১ উইকেট তার। ইকোনমিও দুর্দান্ত। মিরপুরের উইকেট স্পিন হলে কপালে ভাঁজ পড়তে পারে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অন্যতম সেরা লেগ ব্রেক অ্যাডাম জাম্পা বড় আতঙ্কের নাম। তবে মিরপুরে অজিদের ব্যাটিং অর্ডারে ত্রাস ছড়াতে পারেন সাকিব আল হাসান।
দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি বোলারতো বটেই, ওভার প্রতি রান দেয়াতেও কিপ্টে সাকিব। পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও তিনি ম্যাচ উইনার। ক’বছর আগেও কোনো ফরম্যাটেই অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন না নিয়মিত। কিন্তু বর্তমানে এই ফরম্যাটে অ্যাস্টন আগার অপরিহার্য।
এই লেফট আর্ম অর্থোডক্সের শিকার ৩৯ উইকেট। সে তুলনায় নবীন বাংলাদেশের মাহাদী হাসান। ৬ উইকেট শিকারি এই অফ স্পিনারকে নিয়ে আলাদাভাবেই ভাবতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। অ্যান্ড্রু টাই। অজিদের পেস আক্রমণের অন্যতম আকর্ষণ। গতি কিংবা বাউন্সে দারুণ কার্যকরী।
দলের ব্রেক থ্রুর প্রয়োজনে যিনি অপরিহার্য। অ্যান্ড্রু টাইয়ের সাথে সাইফউদ্দিনের তুলনা হয় না। তবে ডেথ ওভারে সাইফের কাছ থেকে প্রত্যাশার প্রাপ্তি মিলছে না। মিরপুরের উইকেট বলেই হয়তো আশার বাতি জ্বালতেই পারেন তিনি।
এস/এ