————–প্রকৃতি
—————সুদীপ চন্দ্র হালদার
টিপ টিপ বর্ষা-গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, দমকা বাতাস,
রাস্তার দু’ধারে ধুতুরা-কাগজফুল, কি অনবদ্য সৃষ্টি!
সারিবদ্ধ নিম গাছের ছন্দময় নৃত্য, ফসলের মাঠে
ঢেউ খেলে যায় এলোমেলো বাতাস, কি অপরূপ।
দূর্বা ঘাস যেন নব প্রানসঞ্জীবনী অনন্যা,
চিকচিক জলকণা সে কি অপরূপা,
ক্ষণিক রোদ্দুর রোদ্দুরের উকিতে যেন সোনার আভায় উদ্ভাসিত
চতুর্দিক, আহা কি অসীম সুদর্শন প্রকৃতি !
ফুটবল মাঠে কিশোরের স্বর্গীয় আনন্দ,
কদম ফুলের পরাগে জলকণা যেন হীরার ঝলক,
জলরাশির নীল পদ্ম যেন অতি মন-হারিণী,
বিলের শাপলা-শালুক জলতরঙ্গে নৃত্যরত।
রঙিন ছাতির বাহারি রূপে আকুল শিশুর মন,
এক হাতে মায়ের আঁচল, অন্য হাতে রঙিন ছাতি
সবুজবীথির রাস্তায় হাটতে সে কি আনন্দ,
নিষ্পাপ ওই মুখাবরনে সে কি পবিত্র আনন্দ।
রাজহংসের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে আনন্দ বুঝি
ধরে না, ডুব ডুব খেলায় মেতেছে লয়ে সঙ্গী সাথী।
দূরন্তপনায় মাতোয়ারা বালক নদী তীরে,
ছুট ছুট খেলার তরে আজি মজার দিন বটে।
জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে ষোড়শীর গুড়ি গুড়ি
বৃষ্টি ছোয়া, আর কল্পলোকের রঙ্গিন স্বপ্নবুনন।
রাস্তার কিনারে বাছুরের উদ্দাম লম্ফ-ঝম্ফ,
পুরাতন-বয়স্ক গাছ যেন স্নানের স্নিগ্ধতায় প্রশান্ত।
আকাশ ছেয়েছে রূপোর ছাউনিতে,ছাড়ি নীলবরন,
ছাদের বনসাই আজ অপরুপা বৃষ্টিকণার ছোয়াতে,
সারিবাঁধা বনসাই’য়ে তরুনী বধূর অপলক দৃষ্টি যেন তার তৃপ্তি;
আহা, মাদকতাময়-মোহনময়ী প্রকৃতি!!
এস/এ