চীনের যুদ্ধংদেহী অবস্থা: পানির প্রবাহ ঘোরানো ও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার
সালমা কাউসর আসিফ
সমসাময়িক ভূ-রাজনীতির সাথে সুসংগতভাবে চীন মনে হয় প্রাকৃতিক সম্পদকে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক যা প্রতিপক্ষ বা শত্রু পক্ষের সম্পদকে ধ্বংস করার সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ যেন শত্রু সৈন্যরা বেঁচে থাকার জন্য সম্পদ শুন্য হয়ে পড়ে। এই লক্ষকে সামনে রেখে পৃথিবীর অবকাঠামো নির্মাণের ইতিহাসে কোন দেশ যা করে নাই তা করে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর জন্য চীন স্বায়ত্তশাসিত তিব্বত অঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণ করছে।
উপরন্তু, এটা জানা গেছে যে চীন ১২০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে স্যালউইন, মেকং, ইয়ান্তজ, ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদীর উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করার মনস্থ করেছে। পশ্চিম প্রান্তে, দেশটি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অঞ্চলের উত্তর সিন্ধু নদের জল প্রবাহের উপর বাঁধ নির্মাণ ও অর্থায়ন করছে। এটাকে হিমালয়ের বিভ্রম বা ভুল বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১০ সালে চীন ব্রহ্মপুত্র (ইয়ারলুং সাংপো) নদের মূল জল প্রবাহের পার্শ্বে ছোট ছোট বাঁধ নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে, ইতোমধ্যে দেশটি দুটি বাঁধ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে এবং বাকীগুলো খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইয়ারলুং সাংপো নদীর উপর প্রস্তাবিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ থেকে ৬০ গিগাওয়াট জলবিদ্যুৎ পাওয়ার আশা করছে দেশটি যা চীনের বর্তমান সবচেয়ে বড় বাঁধ থেকে উৎপাদিত জলবিদ্যুতের তিনগুন বেশি।
বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বিবেচনা করলে এটা পরিস্কার যে এই বড় নদী ও উপনদীগুলোর প্রবাহ, গতি ও দিককে প্রভাবিত করার মাধ্যমে চীন মূলত প্রতিবন্ধকতা তৈরি অথবা নিজের সুবিধামত নদীর দিককে পরিবর্তন করছে। উদাহরণস্বরূপ, নি¤œ অববাহিকায় অবস্থিত দেশগুলোর পরিণতি চিন্তা না করে সাউথ নর্থ ওয়াটার ডাইভারশন প্রকল্প, ওয়েস্ট ইস্ট পাওয়ার ট্রান্সফার প্রকল্প এবং বড় বড় নদীগুলোকে সংযুক্ত করে পানি সমৃদ্ধ এলাকা থেকে যেসব এলাকায় পানি নাই সেসব এলাকায় পানি প্রবাহিত করা পানি সম্পদে আত্মনির্ভরশীল হওয়া সংক্রান্ত চীনের বিশাল পরিকল্পনারই অংশ।
যাইহোক, ভূমিকম্প সংক্রান্ত ক্ষেত্রে এসব পরিকল্পনার অমার্জনীয় পরিবেশগত মূল্য দিতে হবে। কারণ এটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুমিকম্প প্রবণ হিমালয় পর্বত শ্রেণীর এলাকা। অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজের জন্য এগুলো প্রযুক্তিগত দুঃস্বপ্নে পরিনত হতে পারে যা এই এলাকার ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
কোন সন্দেহ নেই চীনের এ সকল কার্যক্রম নি¤œ অববাহিকার দেশ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মারাত্বক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। যদিও চীন এই উদ্বেগকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না তবুও বাংলাদেশ ও ভারতের আশঙ্কা বা পরিনতির অনুমান অমূলক নয়।
বিরাজমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং চীনের অতিলোভী উচ্চাকাঙ্খার বিস্তৃতি এই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মেকং নদীর উপর নির্মিত বাঁধকে এই সঙ্কটের অগ্রবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, পরবর্তীতে আরও কি হবে এটা তারই একটা আভাস।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১৯ সালে মেকং নদীর অববাহিকার চীনের উচ্চাঞ্চলের খরা এলাকায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হলেও বাঁধ দিয়ে দেশটি তা নি¤œ অববাহিকার দেশগুলোতে প্রবাহিত হওয়া থেকে আটকে রাখে যদিও নি¤œ অববাহিকার দেশগুলো মরিয়াভাবে পানি চাইছিল। বিপরীতভাবে, বন্যার জন্য চীনের বাঁধগুলোকে সন্দেহ করা হচ্ছ যেমন এক দশক আগে লাওসের মেকং জুরে হয়েছিল। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এবং উচ্চ অববাহিকার দেশ হওয়ায় চীন এইসকল প্রকল্পগুলোকে নিজের প্রভাব প্রতিপত্তিমুলক ভূমিকা হিসেবে দেখে, দেশটি মনে করে নি¤œ অববাহিকার দেশগুলো যেগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট সেগুলো কোন প্রতিরোধ করতে পারবে না অথবা পানির জন্য সমঝোতার ক্ষেত্রে কোন উল্লেখযোগ্য দরকষাকষিতে জড়াতে পারবে না।
এই নদীগুলোর প্রবাহকে অন্তর্মুখীকরণ করতে চীনের প্রচেষ্টা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে যে, ধ্বংসাত্বক প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্মাণকার্য করে পানির প্রবাহ চীনমুখী করতে চায় দেশটি। এটা উল্লেখ করতে হবে যে, চীন ব্রহ্মপুত্রের তিব্বতী উপনদীগুলোর একটি শিয়াবুছু নদীর গতিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি করেছে। খুব বেশি আগে নয়, চীন গালওয়ান নদীর গতিপ্রবাহেও বাধার সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। এটা উৎপত্তি হয়েছে চীন নিয়ন্ত্রিত আকসাই চীন অঞ্চল থেকে, সম্প্রতি এ অঞ্চলে চীন ও ভারতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এই বিশাল বাঁধগুলোর ফলে ভারতের কৃষি খাত মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ এই স্থাপনাগুলোর ফলে নদী দিয়ে আসা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পলিস্তর আটকে যাবে। অন্যথায় বাঁধগুলো না থাকলে এই পলিস্তর নি¤œ অঞ্চলের মাটিতে যুক্ত হয়ে উর্বরতা শক্তি বাড়িয়ে দিত এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখত।
বস্তুত, সর্ব নি¤œাঞ্চলের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে খারাপ হুমকির মুখে। দেশটির বেশিরভাগ লোকজন বন্যা প্রবণ পদ্মা, মেঘনা, যমুনা এবং বরাক নদী অঞ্চলে বাস করে। যমুনায় অতিরিক্ত পানির প্রবাহ (বহ্মপুত্রের নি¤œ প্রবাহ) বিরাট বন্যার সৃষ্টি করতে পারে, এতে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ বাস্তুহারা হতে বাধ্য হবে। এর ফলে সৃষ্টি হওয়া উদ্বাস্তু লোকজন পাশের দেশে আশ্রয় গ্রহণের চেষ্টা করতে পারে, এতে আন্তঃসীমান্ত জটিলতা তৈরি হতে পারে।
যেকোন অচলাবস্থার সময় ভাটির দেশগুলোকে ভয়ভীতি দেখানোর কৌশল হিসেবে বা হুমকি দিতে উজানের দেশ চীনের হাতে নদীর পানির গতি প্রবাহ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরুপ, যদিও চীনের সাথে ভারতের জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত ডাটা বা তথ্য শেয়ারিং চুক্তি রয়েছে, তবুও ডোকলাম দ্বন্দ্বের সময় চীন এককভাবে এই চুক্তি স্থগিত করে। যার ফলে এই জলাধারগুলোর উপর নির্ভরশীল কয়েক মিলিয়ন জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থিতিশীলতা পূণরুজ্জীবিত করা স্বত্ত্বেও পরবর্তীতে ২০১৮ সালে এই একটি কাজ ছিল চীনের যুদ্ধংদেহী মনোভাবের পরিস্কার নির্দেশনা বা ইঙ্গিত। চাপের কৌশল হিসেবে চীন প্রাকৃতিক সম্পদকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে এই উপলব্ধি দেয়ার মাধ্যমে এটা দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী একটা অবিশ্বাসের চিহ্ন এঁকে দিয়েছে। এটা আরও সম্ভাব্য যে, এককভাবে সম্পদ দখল করে রাখার চীনের এই প্রবণতা শ্যাক্সগাম উপত্যকার নৈকট্য বিবেচনায় প্যানগং হ্রদে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে, এই অঞ্চলে বিশাল পরিমাণ সিলিকা রয়েছে যা মাল্টিবিলিয়ন ডলারের বৈদ্যুতিক চিপ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ১৯৬৩ সালে চীনকে মূলত পাকিস্তান উপহার দিয়েছিল।
উপরন্তু, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক প্যানেল তার প্রতিবেদনে হাইটলাইট করেছে যে, ভূমিকম্পের জন্য হিমালয় অঞ্চল ব্যাপকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ফলস্বরুপ অপ্রত্যাশিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দ্রুত পরিবর্তণশীল ভূমিক্ম্পীয় নড়াচড়ার কারণ। এ অঞ্চলের টপোলজি ও ইকোলজির উপর আধুনিক অবকাঠামো প্রকল্পের ছদ্মাবরণে যেকোন ধরনের বর্ধনশীল হস্তক্ষেপ পুরো এলাকা এবং স্বার্বভৌম সীমানায় বসবাসরত বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষকে গুরুতর বিপদের মুখে ঠেলে দেবে।
এতদস্বত্ত্বেও চীন সবসময় যুক্তি দেখিয়ে যাচ্ছে যে, বহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত এই জলবিদ্যুৎ স্থাপনাগুলো নদীটির জলবাঁধ যা পানি সংরক্ষণ করছে না অথবা পরিকল্পিতভাবে গতিপ্রবাহকে ভিন্নমুখী করছে না। যাইহোক, স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছে যে, কোনভাবেই এটা গ্যারান্টি দেয়া যায় না যে এই প্রকল্পগুলো শুষ্ক মৌসুমে ভাটি অঞ্চলে পানির প্রবাহকে হ্রাস করবে না অথবা বৃষ্টি মৌসুমে বন্যা সৃষ্টি করবে না। এ কারণে ভাটি অঞ্চলের দেশগুলোর উদ্বেগ সঠিক কারণ বর্ষাকালের অতিরিক্ত পানির সাথে তাদের যুদ্ধ করতে হয় যা দেশগুলোকে ডুবিয়ে দেয় এবং দুর্যোগপূর্ণ বণ্যা সৃষ্টি করে।
বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি, হিমবাহের গলন, ঝুঁকিপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র, উর্বর মাটির ক্ষয়, ঘণ ঘণ ভূমিধস এবং দুর্বল অর্থনীতির কারণে আঞ্চলিক আকাঙ্ক্ষা পুরণে অবশ্যই রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারকদের অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতার সুযোগ বা পরিসর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। একটি কঠিন প্রাকৃতিক ভূদৃশ্যের সাথে প্রযুক্তিগতভাবে সীমিত সবুজ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং।
এই লেখনিটি যখন প্রিন্ট হবে তখন তিব্বত মালভূমির হিমবাহের বিরাট একটা অংশ গলতে থাকবে এবং খুব দ্রুত অদৃশ্য হয়ে যাবে। বস্তুত, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তসরকারী প্যানেলের প্রতিবেদন স্পষ্টভাবে জোর দিয়েছে যে, ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের ধ্বংসাত্বক হার অব্যাহত থাকলে তিব্বত মালভূমির অবশিষ্ট হিমবাহও খুব শিগগিরই গলে যাবে। দ্রুত বর্ধনশীল হিমবাহের গলন, সমুদ্রের উচ্চতা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘণ ঘণ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলছে। এটা স্বীকার করতেই হয় যে, সংবেদনশীল ইকোলজিক্যাল অঞ্চলগুলোতে অবকাঠামো নির্মাণ এবং এই কার্যক্রমের ফলে তুষারপাত এবং ধ্বংসাবশেষের ঝুঁকির বিষয়ে চীন কর্তৃপক্ষও জানে কিন্তু মনে হয় না এটা তাদের পরিবেশগত ক্ষতিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত রাখছে। শুধু এটাই না, অতীতে আন্তঃসীমান্ত একটি নদীকে চীনের স্যাবোটাজ করে দুষিত করার কথা জানা যায়। চীন নদীটিকে এমনভাবে দুষিত করেছিল যে, এটা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে এবং মানুষের জীবনযাত্রার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে, কৃষি উৎপাদন এবং মৎস্য অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়ে।
সমালোচনামুলক মূল্যায়ণ
সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায়, উজানের দেশ হওয়ায়, নদীগুলোর সকল অবস্থা এবং এর পানি সম্পর্কে সব তথ্যের আধার হল চীন। যদি চীন সঠিকভাবে নদী ও পানি ব্যবহার করত তবে ভাটি অঞ্চলের দেশ ও নদীগুলোর বন্যা ব্যবস্থাপনা আরও ভালভাবে করা যেত। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য চীনের উপর নির্ভরশীলতা দেশটিকে তথ্যগুলোকে লুকিয়ে রাখা এবং নিজের উদ্দেশ্যসাধনে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সুবিধা দেয়। ভারতের ক্ষেত্রে আন্ত:সীমান্ত নদীগুলোর পানি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে বিতর্ক নিরসনের সমঝোতামুলক মেকানিজমের অভাব, এবং আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তিমুলক ব্যবস্থার কাছে বিতর্ক নিরসনের আবেদন দাখিল করার ক্ষেত্রে চীনের প্রকাশ্য অস্বীকৃতির ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য খুবই কম কূটনৈতিক সমাধানের পথ রয়েছে। আভ্যন্তরীণ নদীগুলোর কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে এবং কৃষিতে বৃষ্টির পানির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে এখন ভারতের হাতে অল্প কিছু বিকল্প রয়েছে। ভাটি অঞ্চলের প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে পরামর্শ করতে চীনের অস্বীকৃতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য জাতিগুলোও শঙ্কিত। বেঁচে থাকার জন্য দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার জাতিগুলোকে একত্রে চীনের সাথে দর কষাকষি করার এটাই প্রকৃত সময়। সর্বোপরি, প্রকৃতির শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো কোন সীমানা চেনে না এবং চীনকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে, তাদের টেকসই ব্যবহার এক দেশের আধিপত্য থেকে উদ্ভুত হওয়া উচিৎ নয় বরং দায়িত্বশীল জাতিরাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত বাধ্যবাধকতা থেকে উদ্ভুত হওয়া উচিৎ।
লেখক: জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী
এস/এ