যত টাকা লাগুক, যত ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে আমরা কিনব: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের জনগণকে ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ করোনার হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন কেনা আমরা শুরু করেছি।
ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন দিতে হবে। যাতে দেশের সকলেই সুরক্ষিত থাকে।
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং জনপ্রশাসন পদক ২০২০ ও ২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি‑ পরিবারে যারা.. ড্রাইভার থেকে শুরু করে বাড়িতে যারা কাজ করে তাদের জন্য ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হয়।
তাহলে সবাই সুরক্ষিত থাকতে পারবে। এর জন্য প্রয়োজনে যত টাকা লাগবে, যত ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে আমরা কিনব। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরি করব। যাতে মানুষের কোন অসুবিধা না হয়।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসবে। নতুন উদ্ভাবন হবে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত দেশের মানুষ সেবা পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা মানুষ ব্যাপকভাবে পাচ্ছে। আমরা দেশের মানুষকে যে সকল সহযোগিতা করছি তার সবকিছুই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে। এতে আমাদের কাজ যথাযথ হচ্ছে, সময় বাঁচছে।
সরকার গঠন বা ক্ষমতায় আসা ভোগ-বিলাসের বিষয় নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছি বিধায় মহান কিছু হয়ে গেছি তা নয়। এটা একটা বিরাট দায়িত্ব। এখানে সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব রয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ তো আপনাদের ভরণপোষণ-খাওয়ার জোগাড় সবই করে। কাজেই তাদের জন্য আমরা কতটুকু করতে পারলাম, তাদের কতটুকু দিতে পারলাম‑ এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। তাদের সার্বিক উন্নয়ন আমাদের সকলের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, প্রত্যেকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছি বলেই আজকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে অল্প সময়ের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে পেরেছি। সবাই যার যার জায়গায় কাজ করেছে বলেই মানুষ তার সুফল পেয়েছে, দেশের উন্নতি হয়েছে। নাহলে কখনোই আমরা এত তাড়াতাড়ি উন্নতি করতে পারতাম না।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনপ্রশাসনে যারা আছেন তাদের জনগণের সেবা করা, দেশের সেবা করা- এটাই সবচেয়ে বড় কাজ। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
এই করোনার কারণে আমরা অনেকটা পিছিয়ে গেছি। এর মধ্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি এখানে জনপ্রশাসনের অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, এই করোনার সময় সেবা দিতে গিয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকেই জীবন দিয়ে গেছে। আমাদের দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সর্বক্ষণ সক্রিয় রয়েছে। তারাও জনগণের পাশে রয়েছে। করোনায় আমরাও আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হারিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উপর অনেক বার আঘাত এসেছে। বারবার ঝড়-ঝাপটা গেছে। এবারের সরকারের সময় আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু একে একে সেগুলো আমরা মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
এস/এ