২২ মের মধ্যে নৌ-যান চলাচলের ঘোষণা দেওয়া না হলে ২৩ মে বিআইডাব্লিউটিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান
নিজস্ব প্রতিবেদক : শুক্রবার বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, গত দেড় মাসেরও অধিককাল ধরে লকডাউনের নামে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার ফলে বেতন-বোনাস না পেয়ে চরম অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে নৌযান শ্রমিকরাসহ নদী বন্দর সমুহে দিন মজুর হিসাবে কাজ করা লক্ষ লক্ষ শ্রমিক।
তারা বলেন, সারাদেশে কোথাও লকডাউন কার্যকর নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে না কোথাও। গণপরিবহন বন্ধের নামে যাত্রী সাধারণকে চরম দুর্ভোগে ফেলে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয়ে সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রয়েছে। ঈদের আগে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে অর্ধ কোটিরও বেশি মানুষ চরম দুর্ভোগ ও কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয় করে পরিবার-পরিজনের কাছে পৌছাতে কোন অসুবিধা ও বাধার সম্মুখিন হয়নি।
তারা আরও বলেন, ফেরিঘাট গুলোতে যাত্রীদের প্রচন্ড ভিরে পদপিষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যুর মত মর্মান্তিক ঘটনার পরেও কি কারণে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও দুরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা আশা করেছিলাম সরকার ঘরে ফেরা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ প্রত্যক্ষ করার পর যাত্রীবাহী লঞ্চ ও দুরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু ইদের পর আবারো দুরপাল্লার গণপরিবহর ১ সপ্তাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা আমাদেরসহ সমগ্র দেশবাসীকে হতাশ করেছে। আবারো চরম ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে ঈদ ফেরত দরিদ্র যাত্রী সাধারণের কর্মস্থলে ফিরে আসা শুরু হয়েছে আগের মতোই।
তারা বলেন, আগামী ২২ মের মধ্যে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচলের ঘোষণা দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। আশা করি সরকার শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণের দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে আমাদের যুক্তিক দাবি মেনে নিয়ে ২২ মে’র মধ্যে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচলের ঘোষণা দেবে। এতে চরম বিপর্যয়কর অবস্থায় নিপতিত নৌযান শ্রমিকরা উদ্ধার হবে।
যদি শ্রমিকদের এই যুক্তিক দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আগামী ২৩ মে সকাল ১১ টা থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের ঘোষণার দাবিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করা হবে।
স/এষ্
