দেশে কাক ও কোকিল চেনা বড় দুষ্কর, কে আপন কে পর: নানক
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, সাদা আর কালো মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। তাই সামনের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্নভিন্ন করে নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ দিনটি আমদের চেতনার জায়গাটি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মনে করিয়ে দেয় সেদিনের দৃশ্যপট। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। শেখ হাসিনাকে জনগণের নেত্রী হতে দেওয়া যাবে না। সে কারণেই সেদিন ১/১১ অঘটন ঘটিয়ে আমাদের অনিবার্য বিজয় সেদিন বাধাগ্রস্ত করেছিল।
নানক আরও বলেন, ১৬ জুলাই তার মাত্র ১১ দিন আগে নেত্রী আমাদের সিগন্যাল দিলেন। আমাকে আর মির্জা আজমকে। ডিপ আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাও, প্রয়োজনবোধে একশ হাত মাটির নিচ দিয়ে হলেও বের হয়ে যাও। তোমাদের কিন্তু ক্রসফায়ার করবে।
১৬ জুলাই গ্রেপ্তারের আগ মুহুর্তে নেত্রী ফোন করে বললেন নানক, আজম আমি চলে যাচ্ছি। আমি একটি চিঠি রেখে যাচ্ছি দেশবাসীর জন্য। এই চিঠিটি সারা বাংলাদেশে প্রচার করবে, আমাদের কর্মীদের পৌঁছে দেবে। এটাই হয়তো তোমাদের সঙ্গে আমার শেষ কথা। আমাকে কী করবে জানি না।
তবে বিশ্বাসঘাতকতার আর কী দেখেছো? আমার গ্রেপ্তারের পরে দেখবা, আওয়ামী লীগের নেতারা কী পরিমাণ বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী সভায় সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
এস/এ