বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুন, কমেছে সবজির দাম

বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুন, কমেছে সবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের পর আবারও বেড়েছে আলু ও ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা, রসুনের ৭ টাকা, আলুর ২ থেকে ৪ টাকা এবং হালিপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা।

এসব নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে মুরগি, গরুর মাংস ও সবজির। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। রসুন, আলু এবং ডিমের সরবরাহ কম হওয়ায় আড়তদাররা দাম বাড়িয়েছেন।

একদিকে করোনা অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় ক্রেতারা চরমভাবে হতাশ। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ,শান্তিনগর এবং সেগুন বাগিচা কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাইকারি দামে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে।

চীন থেকে আমদানি করা রসুন রাজধানীর বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকা থেকে ১১৫ টাকা কেজিতে। অথচ দুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকা কেজিতে। তবে দেশি রসুন ৬০-৭০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা পাল্লায় বিক্রি হওয়া সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা পাল্লায়। সাদা আলুর পাইকারি দাম ১৯-২০ টাকা কেজি। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২২-২৫ টাকা কেজিতে।

ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা হালিতে। তবে চড়া দামে দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালিতে। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জুনায়েদ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজ আনা বন্ধ এমন অজুহাতে দাম বাড়ছে। গত তিনদিন ধরেই ৪২ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছি পেঁয়াজ।’

ব্যবসায়িরা জানালেন, গত দুই-তিন দিন ধরে আগের বিক্রির চেয়ে ১-২ টাকা বেশি দরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। ফলে ৪২ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে সাত টাকা।

ঈদের আগে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৪০-৪২ টাকা কেজিতে। এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৪৫ টাকা কেজিতে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে। কারওয়ান বাজারের আদা-রসুনের ব্যবসায়ী রাশেদ আলী বলেন, আদা ও দেশি রসুনের

শুক্রবার সকাল থেকে চায়না রসুনের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। ফলে গতকালও ১০৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা চায়না রসুন আজ বিক্রি করছি ১১৩ টাকায়। তিনি বলেন, কী কারণে বাড়লো তা তো আড়ৎদাররা বলতে পারবে। আমরা বেশি দামে কিনেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। কারওয়ান বাজারে খুরচার ডিম বিক্রেতারা বলেন, পাইকারি ডিমের ডজন ৯০ টাকা। অথচ ঈদের আগে এই ডিম বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা ডজন।

ঈদের পরপরই চড়া দামে বিক্রি হওয়া সবজির দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। গত তিনদিন আগেও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া করলা, পটল, বরবটি, ধুন্দল, ঝিঙে, চিচিংগা, কাঁকরোল এবং শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা কেজি দরে।

আর ঢ্যাঁড়স, বেগুন, পেঁপে এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজিতে। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি লাউ এবং জালি কুমরা বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪৫ টাকা পিস। তবে একটু বড় ও ভালো মানের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস। এছাড়াও পাটশাক, পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা আটি।

স/এষ্