করোনায় মৃত্যু ২১০ ও শনাক্ত ১২ হাজার ৩৮৩ জন

করোনায় মৃত্যু ২১০ ও শনাক্ত ১২ হাজার ৩৮৩ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২১০ জন, যা এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল ২০৩ জন। এর আগে ১২ জুলাই ২২০ জন এবং ১১ জুলাই ২৩০ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আজকের ২১০ জন নিয়ে দেশে টানা চতুর্থ দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে দৈনিক ২০০-এর ওপরে মানুষের মৃত্যু হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১০ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মারা গেলেন ১৭ হাজার ৫২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৮৩ জন, যা এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল ১২ হাজার ১৯৮ জন। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১২ হাজার ৩৮৩ জনকে নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত সাড়ে ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেলো। সরকারি হিসাবে দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ জন।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ২৪৫ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন আট লাখ ৯৭ হাজার ৪১২ জন।

এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৪ হাজার ৮১০টি, আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ হাজার ৪৯০টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৯টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৫২ লাখ দুই হাজার ৫৮২টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৭টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩১ জন আর নারী ৭৯ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনায় পুরুষ মারা গেলেন ১১ হাজার ৯১৩ জন এবং নারী পাঁচ হাজার ১৩৯ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১০৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে সাত জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন।

মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৫ জন, খুলনা বিভাগের ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগের ১০ জন, সিলেট বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ১৪ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের আট জন।

২১০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪০ জন এবং বাড়িতে ১৩ জন।
এস/এ