করোনা পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠিক কর্মসূচি স্থগিত: ওবায়দুল কাদের

করোনা পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠিক কর্মসূচি স্থগিত: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন একমাত্র কর্মসূচি হচ্ছে অসহায় মানুষের পাশে থাকা। পাশাপাশি দলের দুখী, অসহায় ও অসুস্থ কর্মীদেরও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, দলের সামর্থ্যবান ও জনপ্রতিনিধিদের।

এছাড়া করোনার সংকট ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসহায়, দুঃস্থ এবং খেটে-খাওয়া মানুষের পাশে থাকা অব্যাহত রাখতে দলের সব নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

মঙ্গলবার তার বাসভবনে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনগন ঠিকমত মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউনের প্রয়োজন হয় না। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উদাসীনতা প্রদর্শন করলে লকডাউন অর্থহীন। একটা সময় অনেকে মনে করতেন গ্রামের মানুষের করোনা হবে না। এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে সংক্রমণ এখন গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই সংক্রমণ আগের দিনের হারকে অতিক্রম করছে।

সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবীসহ দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দলকে সচেতনতা বাড়ানো জন্য ক্যাম্পেইন পরিচালনার আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, হাট বাজারে বা চায়ের দোকানে জটলা তৈরি না করে সতর্কভাবে চলাফেরা এবং মাস্ক পরিধানের মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

সতর্ক না হলে, উদাসীনতা দেখালে কেউ সুরক্ষিত করতে পারবে না। একসময় হয়তো হাসপাতালে বেড বাড়িয়েও রোগী সামাল দেওয়া যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বরেন, লকডাউনকে ফাঁকি দেওয়া গেলেও করোনাকে দেওয়া যায় না। তার প্রমাণ অতিসংক্রমণ ও মৃত্যুর উচ্চ হার। প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও ঈদ উৎসবের যে সুযোগ করে দিয়েছেন। তার সদ্ব্যাবহার দলমত নির্বিশেষে করতে হবে।

কেউ যেন দায়িত্বহীনভাবে ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল এবং কোরবানীর পশুর হাটে বাঁধভাঙা ভীড় সৃষ্টি না করে। তা না হলে ভয়ংকর বিপর্যয় নেমে আসবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
এস/এ