কঠোর লকডাউনে বেড়েছে মাছ-মুরগি ও সবজির দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে সাতদিনের লকডাউন আর দুদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। এতে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের।
শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। চাল কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমরার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ টাকা। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম ৪০ টাকা। কাকরোল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
দেখা গেছে, বোতলের লিটার প্রতি সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা ও খোলাটা ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাম সুপারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনি প্রতিকেজি ৭৮-৮০ টাকায়। প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৬২-৬৫ টাকা, মোটা চাল ৪৫-৪৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০-১০০ টাকা। প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০, ব্রয়লার ১৫০ ও লেয়ার ২৫০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি ৫৮০-৬০০ টাকার মধ্যে। আর খাসির মাংসের কেজি ৮০০-৯০০ টাকা।
কাওরান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ওহাব মিয়া বলেন, লকডাউনের কারণে সবজির গাড়ি কম আসছে। একই সঙ্গে বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতাও কম থাকার পরেও সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারে কথা হয় মোতালেবের সঙ্গে। তিনি বলেন, মাছ ও মুরগির দাম বেড়েছে। তবে সবজির দাম কিছুটা বাড়লেও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।এস/এ