—পথের শেষে সমাধী
—শিখা রানী বিশ্বাস
একসময় জীবন ফুরিয়ে যাবে
পড়ে থাকবে কিছু বেদনা ভরা পাওয়া না পাওয়ার স্মৃতি!
নূড়ির নব্যতা দেখা দিবে
নতুন আঙ্গিকে পথ চলা শুরু হবে
তবু্ও বারবার পিছে ফিরে তাকাবে হারিয়ে যাওয়া সময়।
কি হবে দীর্ঘ সুত্রিতার বাধনে যাত্রা পথকে সংকীর্ণ করে
এক সময় সকল পথ থেমে যাবে
সকল বাঁধন ছিড়ে যাবে
তবুও জীবন বাঁচে আসা বাঁচে
একজনের প্রতি অন্য জনের ভালোবাসাও বেড়ে চলে।
আবার একসময় সেই মধুর ভালোবাসাও থেমে যায়
তখন থেমে যাওয়া পথে যদি ঘুরে দ্বাড়াতে যায়
সে পথ আর দেখা দেয়না চলতেই থাকে।
মাঝে মাঝে ক্ষনিকের যাত্রা বিরতি দেয় –
কিন্তু এই বিরতির মূহুর্তে ঘটে যায় নানা ঘটনা অঘটনা।
ধ্যানে জ্ঞানে মোহনীয়তায় আবিষ্ট হয়ে রথ তৈরি করে
পথের মাঝে চলছে যে রথ সে রথে সকল যাত্রী হয়ে থাকে পিছনে আবিষ্ট মোহীত।
নতুন সাজে সাজায় জীবন রথ!
এক সময় নতুনত্ব ফুরিয়ে যায়
জরাজীর্ণকায় হেলে পড়ে মৃতিকার পায়
কোন কোন ক্ষেত্রে মৃওিকার স্বাদ পায় কোনটা আবার সংক্ষেপ অনুভুতি থেকে যায়
বঞ্চিত হওয়া বেদনার ঝুলিতে রসেরসে টইটুম্বুর হয়ে যায় ভালো লাগার মূহুর্তগুলো
তারা শুধু পিছনে টানে ঘুরে ফিরে তাকাতে বলে মধুময় বাসর রচনায়।
কে কার আগে পথের শেষ দেখবে চলে প্রতিযোগিতা!
পথ তার আপন কর্মে নিয়ে যায় একে অপরের থেকে ছিন্ন করে।
কোথায় পথের শেষ আমরা জানি না
তবুও সন্ধান করে চলি নতুন পথের
কেউ কেউ পথ পেয়ে নতুন ভাবে যাত্রা শুরু করে
আবার কেউ কেউ মাঝপথে থেকে যায়।
আর্ত নাদের সুর বাজায় হৃদয় মন্দিরে
এ আর্তনাদ ধর্ষিত হয় যত সব আসা আকাঙ্ক্ষার কাছে।
তবুও মানুষ নব্য পথ খুঁজে বেড়ায়
খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হয়ে পড়ে আবার চলতে শুরু করে
কিন্তু এ যাত্রা শেষ হবার রাস্তা কোথায়?
শেষ রাস্তা যে একটাই
তা হলো জীবনের শেষ খেলা।
ভালোবাসার বন্ধনের মধ্যেও যে এই খেলা লুকোচুরি করে
এক সময় রাস্তা ফুরিয়ে আসে
ভালো লাগা ভালোবাসাও ফুরিয়ে যায়
যাত্রার শেষে খুঁজে পায় জীবনের শেষ সমাধী।