অভিমানের দোলাচল

শিখা রানী বিশ্বাস

—————অভিমানের দোলাচল

————–শিখা রানী বিশ্বাস

আমরা কেন এতো অল্পে ভীতু হয়ে যাই
আমাদের বিশ্বাসের পাত্র তলানিতে ঠেকেছে।
আমরা আর আগের মতো বিশ্বাস রাখতে পারছি না
চারিদিকে বিশ্বাসের হাহাকার
কে কার,কবেকার, কোথায়,কখন, কেমন ইত্যাদি
ওত পাতানো ফাঁদে কোথায় ইতিহাসের বিকৃতি চেহারা লুকানো?
কেন আমরা ভয়ংকর অবিশ্বাস নামক রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছিনা।
ঘড়ির কাঁটা চলে যাচ্ছে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে
কঁটা বাজে তার খেয়াল রাখার সময় কাহারো হাতে নেই
শুধু প্রতি মূহুর্তে অবিশ্বাস দানা বেঁধে আছে।
আমরা স্বাবলম্বী হতে চাই কিন্তু বিশ্বাস করতে চাই না
আমরা বাচতে চাই কিন্তু উপায় খুঁজে দেখিনা।
খুব দ্রুত সময় চলে যাচ্ছে-
চলার বেগবান গতিবিধি কেউ জানেনা,
আমরা সব জানি কিন্তু মানিনা
আমরা প্রতিবাদী কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে তুলিনা।
এক প্রকারের মানুষ যারা নিজেদের অনেক জ্ঞানী ভাবতে পছন্দ করেন
সময়ের সকল পরিকল্পনা তুছ্য তাচ্ছ্যিল্য করে উড়িয়ে দেন।
তাদের জীবনের কোন পরিকল্পনা নেই
কেবল হেলায় ভরে জীবন কাটানোই মূখ্য ,
কিছু মৌনতা ভরা নদী নিরব আকাশে ওড়ে
তারা আবার অভিমানীও হয়
কারণে অকারণে অভিমান করে বসে।
অল্পে অভিমানী লোকেরা নিজেদের আড়ালে রাখে
কিংবা আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন
তারা সকল অভিমানকে উপেক্ষা করে
আলিঙ্গন করেন সকল অবিশ্বাসের মতো বিশ্বাসকে।