—————–বৃষ্টি
—————–সুদীপ চন্দ্র হালদার
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি মেঘের কলরব আর উচ্ছ্বসিত
গর্জনে কম্পিত-চমকিত হৃদয়ের সান্ত্বনাবানী;
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি মেঘের দু’চোখ ভরা ক্রন্দন,
আর বিরহী হৃদয়ের মিলনের স্বপজাল বুনন।
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি গরিমাহীন বৃক্ষের স্নানের স্নিগ্ধতা,
আর গুপ্ত প্রেমিকের সুপ্ত হৃদয়ের ব্যক্ত প্রাঞ্জলতা;
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি বেলি টগরের নৃত্যময় আনন্দ,
আর উথাল-পাথাল হাওয়ায় ডালের তান্ডব নৃত্য।
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি টিনের চালের নিক্কণ পদধ্বনি,
আর আমার আলসে শরীরের ঘুমের আকুলিবিকুলি;
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি উদাসী ঝাউবনের প্রানসঞ্চারী রসধারা, আর আমার শিয়াল মামার আহ্লাদিত চিৎকার।
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি উঁচুতলার উঁচু মানুষের বিনোদন,
আর রিকশাওয়ালা ভাইটির হৃদয় বিদারী ক্রন্দন;
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি বৃষ্টি ভেজা সুন্দরী ললনার রোমাঞ্চ,
আর আমার গার্মেন্টসকর্মী বোনের কামিজ ভেজার উদ্বেগ।
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি রিফাত-নুসরাতের মায়ের ক্রন্দন,
আর পাপাত্মাকে পরিশুদ্ধ করার শুদ্ধ স্নিগ্ধ রারিধারা;
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি গুজবে ঢেলে দেয়া ঠান্ডা পানি,
আর আলোকিত হৃদয়ের এগিয়ে যাওয়ার আশার বাণী।
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি প্রকৃতির অনাচার লব্ধ কান্না,
আর প্রতারিত ষোড়শীর ব্যথাতুর হৃদয়ের ব্যথী;
ওহে বৃষ্টি, তুমি কি মৌলবাদের নিপাত যাওয়ার ধ্বনি,
আর মানবিকতা ও সম্প্রীতির স্নিগ্ধময়ী বানী।
ওহে বৃষ্টি, বাজ পাখি যে তোমায় করে উপেক্ষা,
উড়াল সে দেয় মেঘমালার ওপর হয়ে আত্মহারা;
ওহে বৃষ্টি, কাক যে করে কান্না নারকেল ডালে লুকিয়ে একা, তবে কি তুমি এপিজে কালামের শক্তির প্রতি শক্তির সম্মান।