স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের কাজ অন্য মন্ত্রণালয়ের মতো দৃশ্যমান নয়: পরিকল্পনামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ধরনের কাজ করলেও তাদের অনেক অর্জনই অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজের মতো দৃশ্যমান নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সমালোচনা করার সময় এ বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যের অর্জন চোখে দেখা যায় না। যেমন— কোনো মন্ত্রণালয় রাস্তা তৈরি করলে দেখা যায়, কেউ আকাশে স্যাটেলাইট ওড়ালে চোখে পড়ে। কিন্তু মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর মতো কাজ সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে না। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ গভীরে গিয় দেখতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের বরাদ্দ যে কম ব্যবহার হয়, সেটিও একটি বিষয়।
শনিবার (২৬ জুন) ‘দ্য ন্যাশনাল বাজেট ২০২১-২২: প্রাইভেট সেক্টর পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) যৌথভাবে এই ওয়েবিনার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের ঘাটতি আছে— এ কথা ঠিক। কিন্তু আগের তুলনায় বাস্তবায়ন যে বেড়েছে, সেটিও অস্বীকার করা যাবে না। আমাদের আমলাতন্ত্র সংস্কারের প্রয়োজন আছে। সেটি আমাদেরই করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে টাইম ওভাররান আছে। সেটি এখন কমে আসছে।
কৃষিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কৃষককে বাদ দিয়ে কিছু চিন্তা করতে পারে না। কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তবে সম্পদের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এছাড়া আমাদের কৃষি খাতে মধ্যস্বত্বভোগী রয়েছে অনেক। এদের বাদ দেওয়া যাবে না। এদের সঙ্গে নিয়েই কিভাবে পথচলা যায়, সেটি ভাবতে হবে। দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হলো বেসরকারি খাত। অর্থনীতির ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ বেসরকারি খাতের হাতে। তাই তাদের সুযোগ-সুবিধার দিকটি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে খানিকটা সংশয় প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার সুযোগ ঢালাওভাবে দেওয়া ঠিক হয়নি। যারা স্বল্প রেমিট্যান্স পাঠান, যারা প্রকৃত প্রবাসী, শুধু তাদের জন্য সুবিধা দিতে হবে। আমার আশঙ্কা, সেটি করা না গেলে অন্য কেউ এই সুযোগ নিচ্ছে কি না।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. তৌফিক ইসলাম খান। সঞ্চালনা করেন আইবিএফবি প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশীদ। আরও বক্তব্য রাখেন ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎফুন নেছা সাউদিয়া খান।