শনিবার ভোরে কারা অভ্যন্তরের হাসপাতালের বাথরুমে এ ঘটনা ঘটে।
প্রয়াত হানিফ খলিফার (৪০) গ্রামের বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। তবে বসবাস করতেন সদর উপজেলার চৌহুতপুর এলাকায়।
তিনি তার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ মামলার আসামি ছিলেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক।
তিনি জানান, গেল ৩০ সেপ্টেম্বর বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় হানিফ খলিফার বিরুদ্ধে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তারই স্ত্রী। ওই মামলায় গ্রেপ্তারের পর পহেলা অক্টোবর থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন হানিফ।
ডিএনএ টেস্টের জন্য কয়েক দিন আগে তাকে কারাগারের বাইরে যেতে হয়। কারাগারে ফেরার পর তাকে কারা অভ্যন্তরের হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।
জেল সুপার জানান, হাসপাতালে থাকা হাজতি বা কয়েদিদের মশারি দেওয়া হয়। সেই মশারি ছিড়ে তা দিয়ে দড়ি তৈরি করেন হানিফ। ভোররাতে সবার অগোচরে বাথরুমে থাকা পানির পাইপের সাথে গলায় ফাঁস দেন তিনি।
ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে আরো কারো গাফলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহিম।
ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।