রাজধানীতে ইজিবাইক, ব্যাটারীচালিত রিক্সা বন্ধে ডিএমপি ও দুই সিটি করপোরেশনকে কঠোর হতে বললেন সেতুমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা মহানগরীতে ইজিবাইক, ব্যাটারীচালিত রিক্সা বন্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও দুই সিটি করপোরেশনকে কঠোর হওয়ার আহবান জানান।
বুধবার ঢাকা যাবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএ’র বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ আহবান জানান। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।
ইনার রিং রোডের ইস্টার্ন বাইপাস এবং ওয়েস্টার্ন অংশের হালনাগাদকরণে ডিটিসিএ’র মাধ্যমে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করার আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ডিটিসিএ প্রদত্ত বহুতল ভবনের জন্য ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স ছাড়পত্র গ্রহণের বিষয়টি আইনগত বিধি- বিধানের আওতায় রাজউকের সাথে আলোচনা করে নিষ্পত্তি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সমন্বহীনভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় সড়ক খনন করা যাবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাবতে চান সারা বিশ্বকে উন্নয়ন -অর্জনে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কিন্তু ঢাকা শহর কেনো পিছিয়ে থাকবে? মন্ত্রী এবিষয়ে ডিটিসিএ কে ঢাকার দুই মেয়রকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আহবান জানান।
ডিটিসিএ’র বোর্ড সভায় এসময় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি,সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি,ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডিএমপি কমিশনার।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
এসময় তিনি এদেশের রাজনীতিতে হিংস্রতা আর ষড়যন্ত্রের হোতা বিএনপি বলে মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃত্ববাদী নয়,কারো উপর হিংস্র আচরণও করেনি, বরং প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলের নানান উসকানির মুখে অত্যন্ত সহনশীলতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।
সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সাথে নিয়ে বিএনপিই দানবীয় আচরণ করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শত উসকানির বিপরীতে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।
আওয়ামী লীগ নাকি হিংস্র-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, যাদের হাতে ২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়েছে, তারা আজ আওয়ামী লীগ কে হিংস্রতার কথা বলে!
বিএনপি দেশে স্থিতিশীলতা চায় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা চায় দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করাই বিএনপির রাজনীতি।
জনগণের প্রতি রাজনৈতিক দল হিসেবে যে দায়িত্বশীলতা রয়েছে তা পালনে বিএনপি অনেক আগেই ব্যর্থ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শেখ হাসিনার উদারতা দেখে ভাববেন না এটা আমাদের দুর্বলতা।
নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারবে না বুঝতে পেরে বিএনপি যে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে, তা কারো অজানা নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্পষ্টভাবে বলেন, নির্বাচন ছাড়া সরকার গঠনের আর কোনো বিকল্প পথ নেই,এটাই সংবিধান সম্মত পথ।
ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্রের পথ ত্যাগ করে জনগণের জন্য রাজনীতি করার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, জনগণ চাইলেই নির্বাচিত হবেন এবং সরকার গঠন করবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে বলেই জনগণের প্রতি আস্থাশীল। এস/এ