দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১২ বছর আগের পিছিয়ে পরা বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোর পথে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে।

তিনি বলেন, ১২ বছর আগের বাংলাদেশ ও আজকের বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অর্জনে আকাশ- পাতাল পার্থক্য।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক ভার্চুয়ালি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁর রাজধানীর বাসভবন থেকে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই মহামারি করোনা কালেও বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে দুইশত মিলিয়ন ডলার এবং সুদানকে ৭.৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে, এতেই বুঝা যায় বাংলাদেশের অবস্থান আজ কোথায় এসে পৌছেছে।

বাংলাদেশের মাথা পিছু আয় আজ ২২২৭ ডলার,যা কল্পনাও করা যায় না বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের এই বিশাল উন্নয়ন – অর্জনই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের এই অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের সুফল জনগণ পেতে শুরু করছে।

তিনি আরো বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এই ইতিবাচক ধারা বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপি এবং তাদের দোসররা আদজল খেয়ে মাঠে নেমেছে।

বিএনপি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের লক্ষ্য অস্থিতিশীলতা তৈরি করে দেশের ইমেজ নষ্ট করা এবং দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা।

তিনি বলেন, নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত অন্ধকার বুঝতে পেরে বিএনপি দেশের আলোকিত অভিযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়। দেশ-বিদেশে বিএনপি অর্থ বিনিয়োগ করছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও সম্ভাবনা নষ্ট করে দিতে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল, জনগণের প্রতিরোধের মুখে যে কোনো ষড়যন্ত্র ভেস্তে যেতে বাধ্য।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া, এর সাথে পরাজয়ের কোনো গ্লানি নেই তেমনি কারো বিজয়েরও উল্লাস নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন যারা নেতা নির্বাচিত হবেন তাদের উপর দায়িত্ব বর্তায় নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক দায় বদ্ধতা শেখানোর সততা ও কর্মনিষ্ঠা চর্চার।

আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করতে প্রত্যেক নেতাকর্মীকে অতীতের ন্যায় জনবান্ধব ও গণমুখী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন সকল কর্মীকে প্রকৃত সমাজকর্মী ও দেশকর্মী হিসেবে বিকশিত হতপ হবে।