চন্দ্রিমা উদ্যান ধ্বংস করে জিয়াউর রহমানের মাজার বানানো হয়েছে: দেলোয়ার হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, সেখানে জিয়ার লাশ আছে কিনা প্রশ্ন সাপেক্ষ!
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানটি তৈরি করেছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই নিজ হাতে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করার মধ্য দিয়ে এই উদ্যানের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। যার হাত ধরে এই উদ্যানের সৃষ্টি, সেই বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরার কাজ চলমান। সেটি বাস্তবায়ন করার জন্য কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছিল। আমরাও চাই না, শেখ হাসিনাও চান না, কোনও গাছ কাটা হোক। কাজের প্রয়োজনে করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে পরিমাণ গাছ কাটা হয়েছিল, তারচেয়ে বেশি গাছ রোপণ করে দেবো। তারপরও সমালোচনা হয়েছে। যারা সমালোচক, তারা কখনও বৃক্ষরোপন করতে আসেনি। শুধু এই উদ্যানে নয়, শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে বৃক্ষরোপণ করে চলেছি।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই উদ্যানে দামী বৃক্ষ কর্তন করে জিয়ার নামে শিশু পার্ক করা হয়েছে। তখন পরিবেশ আন্দোলনও ছিল না, প্রতিবাদও ছিল না। ধানমন্ডি কৃষ্ণচূড়ায় সুশোভিত ছিল। গাছের ফাঁক দিয়ে গুলি করতে পারে এই বুদ্ধি যখন দিয়েছে, তখন জিয়া সারাদেশে গাছ কর্তন করেছে। তখন পরিবেশ আন্দোলনের নামে কেউ কথা বলেনি। মুজিব শতবর্ষে আমরা ৩ কোটি গাছের চারা রোপণ করবো। গতবছর আমরা এক কোটি গাছের চারা রোপণ করেছি। বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু প্রতিরোধে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে তালগাছ রোপণ করার আহ্বান জানা তিনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ ৪৪টি দেশের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। জলবায়ু সম্মেলনে তিনি বিশ্ববাসীর জন্য বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ এর মধ্যে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। তার নির্দেশে সারাদেশে বৃক্ষরোপণ উৎসবে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (কালী মন্দির গেট সংলগ্ন) বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনের পর তিনি এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু।