টাকা পাচাররোধে ১৪টি আইন আসছে: অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, যদি ঋণ দেই তবে সারাদেশের মানুষ তা জানতে পারবেন। এখন ঋণ নিচ্ছি, বেশি দিন বাকি নেই আমরা ঋণ দেবো। আমরা যদি লাভবান হই যদি বাড়তি কিছু পাই তাহলে মন্দ না। ঋণ দিয়ে প্রতিবেশী দেশকে যদি সাহায্য করতে পারি, এটা খারাপ না। আমরা যে টাকা ঋণ হিসাবে দেবো তার থেকে ভালো রিটার্ন পাবো।
তিনি বলেন, বিদেশে টাকা পাচার নিয়ে নতুন আইন হচ্ছে। টাকা পাচাররোধে ১৪টি আইন আসছে। তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে কেন টাকা পাচার হচ্ছে। সিস্টেম দিয়ে জানতে হবে এটা কেন হচ্ছে। তার আগে জানতে হবে এটা কারা করছে। আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটা রোধ করার ব্যবস্থা করবো। তার আগে টাকা পাচার বন্ধের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা পাচাররোধে আইন দু’টি কারণে হতে হবে। একটা কারণে হতে পারে দেশে বিনিয়োগের ব্যবস্থা নেই। আমরা দেশে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করবো। তারা যদি দেশেই লাভবান হতে পারে, তবে টাকা পাচার কমবে। আরও একটা কারণ হতে পারে এদের চারিত্রক বৈশিষ্টই টাকা পাচার করা। তাদেরকেও আমরা ডিজিটালি ট্র্যাক করে সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে এসে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেবো। আমরা দেখেছি, কীভাবে টাকা পাচার হয়। যারা টাকা পাচার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। অনেকে জেলে আছে।
খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগে তথ্য সংগ্রহ করবো। এরপরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে ভাচ্যুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন।