কাদের মির্জার নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলায় গুলিবিদ্ধ ৬
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বসুরহাট প্রসক্লাবের সামনে হামলাকারীরা বাদলের গাড়ি ভাংচূড় ও তার সঙ্গে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হাসিবুল হোসেন আলালকে জখম করে। এরই প্রতিবাদে এলাকায় কাদের মির্জার বিরোধী মিছিল করে বাদল অনুসারীরা।
কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেন, বাদল তার গাড়িতে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে বসুরহাট হয়ে রওনা হন। এসময় কাদের মির্জার নেতৃত্বে কেচ্ছা রাসেল, ডাকাত মাসুদ, খান, শিহাব, সজল, আরিফ, ওয়াসিমসহ ৪০-৫০জন অতর্কিত হামলা চালায়। এরই প্রেক্ষিতে কোম্পানীগঞ্জে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. জোবায়ের বলেন, হামলায় গুরুতর আহত চয়নকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাদের মির্জা বলেন, বসুরহাট বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে গেলে সঙ্গে সাধারণ মানুষ ছিল। পরে পৌরভবনে চলে আসি। কে বা কারা বাদলের ওপর হামলা করেছে, নাকি সাজানো নাটক কিছুই জানিনা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ বিয়টি খতিয়ে দেখছে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, পিকেটিংকারীদের হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ফাঁকা গুলি চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।