হে অনন্য
———-সুদীপ চন্দ্র হালদার
ইতিবাচক চিন্তা, ইতিবাচক কর্ম, ইতিবাচক কম্পন,
জগতের কল্যাণে, সৃষ্টির বিকাশে দাও ছড়িয়ে, হে অনন্য।
নির্ভীক চিত্তে, আলোর মশাল হাতে নিয়ে হে অনন্য,
দাও ঘুচিয়ে জগতের দিকে দিকে ঘোর তমসা যত।।
আমিত্বের বাড়াবাড়িতেই জাগে অহংসত্ত্বা রবী ঠাকুরের
বাণী, ধরিয়া হৃদয়পদ্মে কাজে লেগে যাও সবাকার লাগি।
কল্যাণময় সত্যের অপর নাম জেনে রেখ নির্ভীকতা,
সদা সত্যের উদ্ভাসে আলোর বাতি জাগ্রত কর তথা।।
হে অনন্য, সূর্য বিলায় আলো জগতের কল্যাণে,
শত্রু মিত্রের বিচার করে কি সে কভু কখনো।
বট বৃক্ষের নিচে এসে দাড়ায় পথিক হয়ে ক্লান্ত,
যাবার কালে ডাল ভাঙ্গিয়ে রক্ত ঝরার সেই উদভ্রান্ত।।
আলোর ডাক দিকে দিকে, নব সৃষ্টির উল্লাসে,
তুমি কি রবে শুধুই ঘুমিয়ে নির্লিপ্ত, হে অনন্য।
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল-স্বামী বিবেকানন্দ নয়তো সবাই,
হলে সবাই ত্যাগের মহিমায় উদ্দীপ্ত, হতেন কি তাঁরা অনন্য।
সবাই খুঁজুক তোমার ত্রুটি, তুমি খোঁজ নতুন সৃষ্টি,
সৃষ্টির বিপ্লবে গড় নব সৃষ্টির ইতিহাস, হে অনন্য।
মানব সন্তান তুমি, নহে ঈশ্বর-গড; গতিময়তার দৃপ্ততা,
কর্মময়তার বিকাশে নিজেকে শুধিবে বারংবার।।
জগৎ চায় সৃষ্টি তব, নয়তো ধ্বংসের উন্নাসিকতা,
কল্যাণময়তার বার্তা দাও তুমি, ছাড় দোষদর্শনকাতরতা।
হাজারো কাজের ভিড়ে ছেড়ে দাও একটি কাজ অন্যরে;
হে অনন্য, এগিয়ে যাও, এগিয়ে নাও মোদের দিকভ্রান্তকালে।।