হ্যাপি থাই স্পা এর আড়ালে চলে পতিতাবৃত্তি, গোপন ক্যামেরায় হয় ভিডিও ধারণ

হ্যাপি থাই স্পা এর আড়ালে চলে পতিতাবৃত্তি, গোপন ক্যামেরায় হয় ভিডিও ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। রাজধানীর ডিপলোম্যাটিক জোন গুলশান-২ এর গোলচত্ত্বতের ৪৬ নং রোড়ের ৩৩ নম্বর ভবনে হোটেল এইচের লিফটের তিন তলায় নির্বইঘ্নে চলছে হ্যাপি থাই স্পা। সেখানে নারীদের দিয়ে স্পা সেন্টারের আড়ালে পতিতাবৃত্তি করানো হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক শাহাজান ও হ্যাপি বিভিন্ন ভাবে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্বগর্বে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যাবসা চালিয়ে আসছে। এখানে আসা দেশি-বিদেশী গ্রহকদের সুকৌশলে স্পার আড়ালে মাদক প্রদান ও অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করে ব্লাকমেইলে করার অভিযোগ উঠেছে।

স্পা নামক এই অবৈধ প্রতিষ্ঠানে বডি ম্যাসাজের নামে শারীরিক প্রশান্তির অন্তরালে উর্তি বয়সি তরুণীদের দিয়ে অবৈধ দেহব্যবসা ও মাদক দ্রব্য সেবনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন আগ থেকেই।

হ্যাপি থাই স্পা’র দুলাভাই খ্যাত শাহাজান স্বগর্বে পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন ও ফেইসবুকে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব অবাধ সমাজবিরোধী কার্যক্রম রোধে গুলশান বিভাগের দায়িত্বে থাকা একজন উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে একবার অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। কিছু দিন বন্ধ থাকার পরে আবার শাহাজান ও হ্যাপি নিজেদের স্পা ও পতিতাবৃত্তি আবার শুরু করে।

স্পা নামক প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। বৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত লাইসেন্স এর নিয়ম অনুসারে। কিন্তু কোন লাইসেন্স ছাড়াই হ্যাপি থাই স্পা হাঁকডাক দিয়ে তাদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

শাহাজাহানের স্থায়ী ঠিকানা নেত্রকোনা। আগে কাঠের ব্যাবসা করলেও বর্তমানে পুরোপুরি স্পা’র আড়ালে পতিতাবৃত্তি ব্যাবসায় নাম লেখিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠানের এক ম্যানেজার বলেন, এখানে সব রকম অনৈতিক কর্মকান্ডই হয়ে থাকে। প্রতিটি রুমে দুটি খাট রাখা হয়েছে। ফ্লোরের বিছানো ম্যাটে ম্যাসেজের পাশাপাশি হয় অনৈতিক কর্মকান্ড।

শাহজাহান বিভিন্ন কায়দায় প্রশাসন, সাংবাদিক ও স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে এই কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এবিষয়ে শাহাজাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের শক্তি কম না। আপনি আমাদের দূর্বল ভেবেন না। সব জায়গায় সেটিং করেই আমাদের ব্যাবসা চালাতে হয়। আপনি আমাদের কিছুই করতে পারবে না।

অবৈধ ব্যবসা বৈধ করতে লাইসেন্স শাখায় হিড়িক পড়ে স্পা ব্যবসায়ীদের। প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স প্রাপ্তির নিয়মবহির্ভূত হওয়ায় লাইসেন্স পায়নি এসব ব্যবসায়ীরা।

তারপরও অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা নানা কৌশলে স্যালুন বিউটি পার্লারের নামে সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স এনে বিউটি পার্লারের তকমা লাগিয়ে তাদের মূল কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে।

স/এষ্