বাঘারপাড়ায় সুদের টাকা নিতে না পারায় শিক্ষকের বাড়ি দখলের পাঁয়তারা

বাঘারপাড়ায় সুদের টাকা নিতে না পারায় শিক্ষকের বাড়ি দখলের পাঁয়তারা

আজম খান, বাঘারপাড়া (যশোর) ।। বাঘাপাড়ায় সুদের টাকা নিতে না পারায় এক শিক্ষকের বাড়ি দখলের পাঁয়তারা করছে সুদেকারবারীরা।ঐশিক্ষকের নাম হাফিজ উদ্দিন তিনি মীরপুর গ্রামের মৃত আকমান মোল্লার ছেলে ।

সুদেকারবারীদের হাত থেকে বাঁচতে তিন জনের নাম উল্লেখ করে বাঘারপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের মোহাম্মদ মোকামের ছেলে হারুন মন্ডলের কাছ থেকে ১লাখ টাকা ও সোহেলের নিকট থেকে ২লাখ ৫০হাজার টাকা নেন।

বিনিময়ে প্রতি ধান মৌসুমে লাখ প্রতি ১০মন করে ধান পরিশোধ করতে হবে। যা উভয়ের স্বাক্ষরে স্টাম্পের মাধ্যমে লিখিত চুক্তিনামা হয়। সুদ বাবদ ৩৫ মন ধানের দুই কিস্তি (৭০ মন ধান) পরিশোধ করেন হাফিজ।

এরপর বিশেষ কারনে পরের কিস্তি দিতে না পারলে হারুন ও সোহেল একই গ্রামের মুজিবর মোল্লার ছেলে শরিফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে জোর করে একটি স্টাম্পে স্বাক্ষর নেন।

স্টাম্পে লেখা ছিলো, ৯ মে তারিখের মধ্যে সুদসহ আসল টাকা ফেরত দিতে না পারলে বসত বাড়ি ও ধানি জমির অর্ধেক হারুন ও সোহেলের নামে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে লিখে দিতে বাধ্য থাকিব। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা দিতে পারেননি হাফিজ।

এরপর উল্লিখিত তিনজন ২০ মে অরেকটি স্টাম্প নিয়ে হাজির হয় হাফিজের বাড়ি। সে স্টাম্পে লেখা ছিলো, ২৩লাখ টাকা বিনিময়ে হারুন ও সোহেলের কাছে বসত বাড়ি বিক্রি করলাম। বায়না বাবদ ৮লাখ টাকা গ্রহণ করলাম।

এ স্টাম্পেও জোর করে স্বাক্ষর করায় হাফিজকে। এমনকি জমি লিখে না দিলে ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রয়েছে।

অভিযুক্ত হারুন মন্ডল বলেন , জেনেবুঝে স্টাম্পে স্বাক্ষর করেছেন হাফিজ উদ্দিন। সে হিসাবে আমি আমার হিসাব বুঝে নেব।

থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান , দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকতার্কে তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স/এষ্