স্বামী জীবিত, তবুও বিধবা ভাতা পাচ্ছে তারা

স্বামী জীবিত, তবুও বিধবা ভাতা পাচ্ছে তারা

 

কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জ প্রতিনিধ, সমীর রায়: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে বিধবা ভাতা নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাদের স্বামী জীবিত থাকার পরও নিয়মিত বিধবা ভাতার টাকা উত্তোলন করছে তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে এ টাকা উত্তোলন করে আসছেন হিরন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের রেখা বেগম (৪০) রিনা বেগম (৩৮) হেনা বগম (৫০) শিরিন খানম (৩৫) রেভে রানী দাস (৫৫) এদের প্রত্যেকের স্বামী জীবিত।

 

তবে এ ঘটনা হিরন ইউনিয়নেই শুধু নয়। কোটালীপাড়ার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে রয়েছে এমন অনিয়ম।

 

চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা। ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার সব শ্রেণীর মানুষ। তাঁরা বলছেন, এমন অনিয়মের কারণে প্রকৃত বিধবারা সরকারি এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

 

স্বামী জীবিত থাকার পরও বিধবা ভাতার টাকা উত্তোলন করা হেনা বেগম, শিরিন খানম,রেখা বেগম, রিনা বেগম জানান, হিরণ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মুছা মেম্বার আমাদের অসহায় ভাতা করে দেবেন বলে আমাদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে আইডি কার্ড নেন।আমরাতো জানি অসহায় ভাতা পাই কিন্তু এটা যে বিধবা ভাতা আমরা জানি না।

 

হিরণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাজহারুল আলম পান্না বলেন, আমার হিরান ইউনিয়নে সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে লাইফ ভেরিভিশন হয়। এই ভেরিভিশন যারা প্রকৃত ভাতাভূগী তারা উপস্থিত হয়। কিন্তু যারা প্রকৃত ভাতাভোগীনা তারা উপস্থিত হয় নায়। তখনই আমার সন্দেহ হয়। আমি সাথে সাথে ওই ওয়ার্ড গুলোতে মেম্বার, চকিদার, দফাদারকে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য তাগিদ দেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় ৩ নং ওয়ার্ডে ১০ জন বিধবা ভাতার টাকা উত্তলন করে এদের প্রত্যেকের স্বামী আছে। বিগত নির্বাচনে যারা চেয়ারম্যান মেম্বার ছিলেন তারা এই অনিয়মগুলি করে গেছেন। এখন ওই ভাতাগুলি কেটে প্রকৃত যারা ভাতা পেতে পারে তাদের ভাতার আওতায় আনব।

 

কোটালীপাড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রাকিবুল হাসান শুভ বলেন, অনেক সময় বিধবা না হয়েও ভাতা গ্রহন করে থাকে। তাই আমরা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে লাইভ ভেরিবেশন শুরু করি।আমরা কিছু কিছু জায়গায় অনিয়ম পেয়েছি। তবে এরকম হয়ে থাকলে তাদের নাম কর্তন করব। তবে যাঁরা প্রকৃত বিধবা ভাতা পেতে পারেন তাদের নাম প্রতিস্থাপন করব।

এস/এ