সরকার উদার বলেই খালেদা জিয়া পছন্দের ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে পারছেন: ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতাই বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁকে বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের মাঝে এতটুকু কৃতজ্ঞতাবোধও নেই।
বুধবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশের রাজনীতিতে থাকা না থাকা নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। বিএনপি এখন জনআস্থার তীব্র সংকটে ভুগছে। বিএনপি নেতারা বলেছেন তারা আছে ও রাজনীতিতে সোচ্চার। বিএনপি থাকুক। তবে অপরাজনীতি ত্যাগ করে দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করুক। তারা সরকারের গঠনমুলক সমালোচনা করুক।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আছে। তবে ভিন্ন কায়দায়। তাইতো জনগণ মনে করে বিএনপি আছে বলে ষড়যন্ত্র ও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাসও রয়েছে। বিএনপির চলমান ভাঙ্গা রেকর্ড, যা তারা বাজিয়েই যাচ্ছে।
সরকারের পায়ের নিচে নাকি মাটি নেই, সরকার গণবিচ্ছিন্ন, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিচ্ছিন্নতার মাপকাঠি কী? নির্বাচনই যদি মাপকাঠি হয় তাহলে সাম্প্রতিক নির্বাচন, উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে জনগণ কার সঙ্গে আছে। ভবিষ্যতেও প্রমাণ হবে জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের সঙ্গে আছে। নাকি বিএনপির সঙ্গে আছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতমুখী রাজনীতি বিএনপির ষড়যন্ত্র ও উন্নয়নবিমুখ রাজনীতিতে সংকটের প্রকট ছায়া ফেলেছে। তাই বিএনপি এখন হতশ্রী ও জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল। বিএনপি জলাতঙ্ক রোগের মতো জনগণ ও নির্বাচন আতঙ্কে ভুগছে। দেশের অর্থনীতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল অর্থনীতির মর্যাদায় অভিষিক্ত। বিএনপি এখনো হাওয়া ভবনের কালো চশমা পরে আছে বলেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দেখতে পায় না। আরও দেখলেও তা সহ্য হয় না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বএনপির পেছনে শুধু ব্যর্থতা। তাই তারা পেছনে তাকাবে কেমন করে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে নেতিবাচক রাজনীতির বৃত্তে বন্দী থাকলে সামনের দিকে তাকিয়েও তাদের কোনো লাভ নেই।