দেবিদ্বারে আবারও এমপির কেন্দ্রে নৌকার ভরাডুবি

দেবিদ্বারে আবারও এমপির কেন্দ্রে নৌকার ভরাডুবি

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনের মতোই এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের কেন্দ্রে নৌকার ভরাডুবি ঘটেছে। গত সোমবার সপ্তম ধাপের ইউপি ভোটে গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮ নম্বর কেন্দ্র বনকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী মো.হুমায়ুন কবির পান ১৮২ ভোট। আর বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবদুল হাকিম খান ভোট। কিছুদিন আগে উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে নৌকা পেয়েছে মাত্র ১৬ ভোট এবং ধানের শীষ পেয়েছিল ৯৮১ ভোট। ইউপি ও উপজেলাতে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নিজের পছন্দের প্রার্থী বিজয়ীকে করতে নৌকার ভরাডুবি ঘটাচ্ছেন বারবার সরকার দলীয় এ এমপি।

নির্বাচনের একদিন আগে অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের দশজন চেয়ারম্যান প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল নৌকার বিরোধীতা করছেন। নিজের পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। ভোট শেষে নৌকার প্রার্থীদের শঙ্কাই সত্যি হয়েছে। ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৪ জন বিজয়ী হয়েছেন নৌকা নিয়ে। ১০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। একটিতে প্রার্থীর মৃত্যুতে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

৭নং এলাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মোঃ সিরাজুল ইসলাম সরকার অভিযোগ করে বলেন, নৌকা ঠেকাতে স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মূন্সী, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ,এফ,এম ফখরুল ইসলাম মূন্সী এবং সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি ইঞ্জিনীয়ার মঞ্জুরুল আহসান মূন্সীসহ জামায়াত কর্মীদের নিয়ে নিজ এলাকায় এসে নৌকার বিরুদ্ধে প্রচারণা ও গোপন বৈঠক করেছেন। ফলে ১৪ ইউনিয়নের ১০ ইউনিয়নে নৌকার চরম ভরাডুবি হয়েছে।

ধামতী ইউনিয়নের অপর পরাজিত নৌকার প্রার্থী মোঃ জসীম উদ্দিন স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল তাঁর আপন চাচা ধানেরশীষ প্রতীকের প্রার্থী এএফএম তারেক মূন্সীর পক্ষে বিজয়ী করতে মাঠে থেকে কাজ করেছেন। তারা বিএনপি- জামাত নিয়ে ঐক্য করে নৌকার প্রার্থীদের পরাজিত করতে একাট্টা হয়ে মাঠে কাজ করেছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মূন্সী মঙ্গলবার দুপুরে সেল ফোনে জানান, স্থানীয় নির্বাচনে এমপিদের বিধি নিষেধ থাকায় আমি নির্বাচন চলাকালে কোনো ধরনের কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকতে পারব না বলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বরাবরে ঠিঠি দিয়েছি। সংশ্লিষ্টরা প্রার্থী নির্বাচনে অযোগ্যদের মনোনয়ন দিয়েছেন, নৌকার প্রার্থীর বিজয়ে নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপি নিয়ে ঐক্য করে নৌকা ঠেকানোর যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। বিদ্রোহী যারা পাশ করেছে তাদের অধিকাংশই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদের নেতা-কর্মী।

এস/এ