খালেদার চিকিৎসার নামে বিএনপি এতদিন অপরাজনীতি করেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে বিএনপি এতদিন দেশে অপরাজনীতি করেছে। তারা এতদিন মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি তৈরি করে ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন,বিএনপি নেতারা এতদিন বলেছে খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিয়ে গেলে তিনি মরে যাবেন। তাকে কোন ভাবেই বাঁচানো যাবে না। শেষ পর্যন্ত আমরা দেখলাম তিনি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গিয়েছেন। বাংলাদেশে তার সুন্দর ভাবে চিকিৎসা হয়েছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি কতটা মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করেছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। তারা মূলত চেয়েছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে দেশে অস্থিতীশীল পরিস্থীতি তৈরি করতে।
আজ বৃহস্পতিবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি ) সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর মাননীয় সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি এক দফা আন্দোলনের নামে ১৩ বছর যাবত দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। এর জন্য তারা সব করছে। তারা কখনো চায় না দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের জন্য সারা জীবন লড়াই করেছেন। তিনি সব সময় চেয়েছেন এ দেশের মানুষ খেয়ে পরে সুন্দর ভাবে বেচে থাকুক, শান্তিতে থাকুক। কিন্তু জিয়া মোস্তাক গংরা জাতির পিতাকে বাঁচতে দেয়নি। তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট খুবই অমানবকি ভাবে তাকে হত্যা করে। সেই মোস্তাক জিয়া গংদের দোষর হলো বিএনপি-জামায়াত।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কখনো চায়না বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হোক। তারা চায় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় গিয়ে সবকিছু লুটপাট করতে। আবারও হাওয়া ভবন তৈরি করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করতে চায়। তাদের এখন একটাই আফসোস তারা দেশকে পাকিস্তানের আদলে বানাতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সব সময় বিদেশীদের কাছে গিয়ে ধর্ণা দেয়।তারা পরাশক্তির কাছে নালিশ করে। লবিষ্ট নিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে । বিদেশীদের টাকা দেয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য। অর্থনিতিকে বাধাগ্রস্থ করতে তারা মূলত বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করেছে। এর আগে খালেদা জিয়াও নিবন্ধ লিখে জিএসপি সুবিধা নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন, যা আমরিকার বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে। বিএনপির কাজ হলো অপরাজনীতি করা, তারা কখনো স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনো। তারা সব সময় চায় বাংলাদেশ ধ্বংস হোক।
শ্রমিক লীগের নেতা কর্মিদের উদ্দেশ্যে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ সব সময় মেহনতী মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। আপনাদের সকলকে সেটা মনে রাখতে হবে। সংগঠনের শক্তিকে আরও বাড়াতে হবে। দক্ষ নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। জনপ্রিয়দের খুজে বের করতে হবে। দেশের স্বার্থে, জাতির পিতার আদর্শের স্বার্থে, বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রার স্বার্থে এবং গনতন্ত্রের স্বার্থে দেশের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় শ্রমিক লীগের সকল নেতা কর্মীরা বিএনপি জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিবে।
তিনি বলেন, শ্রমিক লীগের গুরুত্ব অনেক বেশি। বিগত দিনে সংগঠনের অভ্যন্তরে কি হয়েছে, কেন হয়েছে, সেগুলো আর আমরা বলতে চাই না। আমরা চাই সকল ভেদাভেদ ভুলে আজ থেকে নতুন ভাবে শুভ যাত্রা করবে শ্রমিক লীগ। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মধ্যে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবে। আজ থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবে ।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আজ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। অতীতের মতো আমরা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবো।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল ১১ টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থিত শ্রমিক লীগ অফিস উদ্বোধন ও নব উদ্যোমে কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কে এম আযম খসররুর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, মো. শাহাবউদ্দিন, মহসিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বি. এম. জাফর, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এ.টি.এম ফজলুল হক, প্রচার সম্পাদক মেহেদি হাসান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক শহীদ ডাকুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মিসেস প্রমিলা পোদ্দার, শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান, ট্রেড সমন্বয় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফিরোজ হোসাইন প্রমূখ।
এসব/এ