মার্চের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গ্রাহকদের জন্য সেট টপ বক্স

মার্চের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গ্রাহকদের জন্য সেট টপ বক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে টিভি কেবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ৩১ মার্চের মধ্যে কেবল অপারেটরবৃন্দ ঢাকা ও চট্টগ্রামে সব গ্রাহকের কাছে ডিজিটাল সেট টপ বক্স পৌঁছার ব্যবস্থা নেবে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এর পরের ধাপে ৩১ মে’র মধ্যে সমস্ত বিভাগীয় এবং মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে এই ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় কেবল অপারেটরবৃন্দ সুলভ মূল্যে গ্রাহকদের এই বক্স সরবরাহ করবে, জানান তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিভি কেবল অপারেটর, ডিটিএইচ সেবাদাতা ও এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে আলোচনা শেষে মন্ত্রী সর্বসম্মত এই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মকবুল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম, এটকোর সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও শীর্ষ কেবল অপারেটরবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে কেবল অপারেটর এবং ডিটিএইচ সেবাদাতা এবং এটকো প্রতিনিধিবৃন্দকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে টিভি কেবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করার উদ্যোগ বাস্তবায়নার্থে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। উদ্যোগ গ্রহণের পর হাইকোর্টের একটি স্থগিতাদেশ ছিলো, মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনের পর হাইকোর্ট আদেশটি স্থগিত করেছেন। এখন ডিজিটাল করার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।

নির্ধারিত সময়ে যারা ডিজিটাল সেট টপ বক্স নেবেন না তারা অনেকগুলো টিভি চ্যানেল থেকে বঞ্চিত হবেন উল্লেখ করে বিষয়টি মানুষকে জানাতে সকল টেলিভিশনে ব্যাপক প্রচারের জন্য এটকো’র প্রতি অনুরোধ জানান ড. হাছান।

কেবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের আলোকে একটি নীতিমালা এবং পরামর্শক কমিটি করার ব্যাপারেও আমরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেটি করা হবে, জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি আরো একটি উদ্যোগ নিয়েছি, ইতিমধ্যে মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সাথে কথা বলেছি তারা যাতে এখানে সেট টপ বক্স তৈরি করতে পারে। তারা সেই উদ্যোগ নিচ্ছে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করতে না পারার কারণে এই মাধ্যমের সাথে যারা যুক্ত তারা যেমন বঞ্চিত হচ্ছে এর সাথে দেশও বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারের প্রাপ্য ভ্যাট-ট্যাক্স ঠিকভাবে আদায় হয় না। যারা গ্রাহককে আরো ভালো সেবা দিতে চায়, তারাও যাতে ন্যায্য হিস্যাটা পায় এবং রাষ্ট্র যাতে বঞ্চিত না হয় এবং সবার ওপরে গ্রাহকরা যাতে ভালো সেবা পায়, সেজন্য আমরা এই মাধ্যমটিকে ডিজিটাল করতে চাই। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে অনেকটাই ডিজিটালাইজ হয়েছে, আমরা পিছিয়ে আছি।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার যে সংবাদ এসেছে এজন্য আমি স্বস্তি প্রকাশ করছি এবং স্রষ্টার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। একইসাথে বিএনপি যে তার স্বাস্থ্য নিয়ে অপরাজনীতি করেছে, বেগম জিয়ার সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, ডাক্তারদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে তারা বলেছে, বেগম জিয়াকে বিদেশে না নিলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আগেও যখন বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তখনও তারা বলেছিলো বিদেশ না নিলে উনাকে বাঁচানো সম্ভব না, এবারও একই কথা বলেছিলো। বিএনপি যে মিথ্যাচার করেছে, সেটি প্রমাণিত হলো বেগম খালেদার সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে।’

এস/এ