চট্টগ্রামের কালুরঘাটে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে: মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

চট্টগ্রামের কালুরঘাটে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে: মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের কালুরঘাটে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে বলে জেলা প্রশাসকদের জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মঙ্গলবার দুপুরে ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুইদিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন

দিনের প্রথম অধিবেশনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অর্থবিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বিভাগের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে সামাজিক ও শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন তারা।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে আমাদের মন্ত্রণালয়ের দুইটি প্রস্তাব ছিলো। একটি হলো চট্টগ্রামের কালুরঘাটে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম বঙ্গবন্ধুর পক্ষে চারজন স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করা হয়। সেজন্য সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে। এবং চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার্থে কিছু করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকদের বলেছি কোথাও জায়গা পাওয়া গেলে বা দিলে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে।

তিনি বলেন, আমি এরআগে যখন চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম তখন জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম বিমান বন্দরের কাছাকাছি কাট্টতলি মৌজায়
একটি জায়গা দেখিয়েছিলেন। তখন আমি বলেছিলাম কাগজ পত্র পাঠিয়ে দিলে প্রস্তাব দিলে ইনশাল্লাহ সেখানেও মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে স্মৃতিস্তম্ভ করবো। চট্টগ্রাম ভিত্তিক যে সব প্রকল্প চলমান আছে সেগুলো জেলা প্রশাসকদের অবহিত করা হয়েছে এবং তাদের সহায়তা কামনা করা হয়েছে।

তিনি জানান, ‘আমি ব্যাক্তিগতভাবে দুইটি প্রস্তাব রেখে আসছি। এরমধ্যে একটি হচ্ছে ভূমির সাব রেজিস্ট্রি অফিস বর্তমানে আইনমন্ত্রণালয়ের অধীন আছে। সেটার এলোকেশন অব বিজনেস পরিবর্তন করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন আনলে ভালো হয়। কারণ সাব-রেজিস্ট্রির কার্যক্রম ভূমি অফিসের রিলেটেড। যদি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিন আসলে কাজে গতি আসবে বলে আমি মনে করি।’

‘অপর প্রস্তাবটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে। সেটা হলো,আমরা যেসব জিনিসপত্র কিনি তার জন্য ভ্যাট দিতে হয়। সেটা দোকানদার রাখে। কিন্তু দোকানদার সেটা ঠিকমতো দেয় কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ হয়। আর জেলা উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামের দোকান থেকে যে সব পণ্য কিনি তখন যে ক্রয় রশিদ দেয়া হয় সেটা হাতে লেখা থাকে। এরফলে রাজস্ব আদায়ে কিছু সমস্যা হয়। এজন্য বলেছি সরকার যদি নিজেদের উদ্যোগে সব দোকানদের ইএফটি মেশিন সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছি। যাদের কেনার সামর্থ নেই তাদের যদি সরকার লোনে দেয়। যাতে পর্যায়ক্রমে ২০ কিস্তি বা ধাপে কেটে নেবে। এইমেশিন যদি সব দোকানদার দের দেয়া হয়, তাহলে ক্রেতারা যে ভ্যাট দেন সেটা সরকারের কোষাগারে জমা হবে। এতে সরকারের আয় বৃদ্ধি হবে।’

ইএফটি মেশিন কি দোকানদাররা কিনে নেবেন না সরকার বিনামূল্যে দেবেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দোকানদারদের এটা কিনে নিতে হবে। যদি কিনার সামর্থ না থাকে তাহলে সরকার তাকে দেবে হয় ২০ কিস্তিতে তার কাছ থেকে সে দামটা আদায় করে নেবে।

সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে জেরা প্রশাসকদের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেবিষয়ে আজকের মিটিং এ কোন নির্দেমনা দেয়া হয় নাই। তবে আগেই এবিষয়ে মোটাদাগে নির্দেশনা দেয়া আছে। সেটা হলো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য তাদের কাছে তালিকা চাইলে তারা সে তালিকা দিয়েছেন। তারপরও যদি কোনটা বাদ থেকে থাকে সেটা তারা দিতে পারবে।

এস/এ