আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র অপেক্ষা করেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পদ্মাসেতু দৃশ্যমান: তথ্যমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র অপেক্ষা করেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পদ্মাসেতু দৃশ্যমান: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেন, সকল ষড়যন্ত্র অপেক্ষা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা পদ্মাসেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে, জোড়াতালির কথা বলেছে এবং পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিলো তারাই আজ পদ্মাসেতু দেখে লজ্জা পাচ্ছো।

সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেসকাউন্সিলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন,পদ্মাসেতু নিয়ে বহু ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাকর্মীরা বহু ষড়যন্ত্র করেছেন বিভিন্ন কথা বলেছেন। বিশ্ব ব্যাংক পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিলো তারপর শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থয়ানে পদ্মাসেতু করেছেন। আজ পদ্মাসেতু দৃশ্যমান। শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু দিয়ে মাওয়া প্রান্ত থেকে জাজিরা প্রান্তে গিয়েছেন। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিল পদ্মাসেতু জোড়াতালি দিয়ে কড়া হচ্ছে।যারা পদ্মাসেতুর নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে মিথ্যা কথা বলেছে, অপপ্রচার করেছে এবং অর্থ বন্ধ করে দিয়েছিলো তারা পদ্মাসেতু দেখে এখন লজ্জা পাচ্ছে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি বিএনপির কবে পদ্মাসেতু দিয়ে যাবে।

দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ আওয়ামী লীগ বাধা দিচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও সরকার বিএনপির কোনো সমাবেশ বাধা দিচ্ছে না। বরং তাদেরকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। সহযোগিতা না করলে তারা কখনো সমাবেশ করতে পড়তো না। বিএনপি বিগত একযুগে কোনো আন্দোলন সংগ্রাম, সমাবেশ করতে পরেনি। তারা সমসময় বলছে এই ঈদের পরে নয় আরেক ঈদের পর, এই বছর না আগামী বছর আন্দোলন করবে। কিন্তু এক যুগ পাড় করেছে কোনো আন্দোলন করতে পারেনি।

ভূয়া সাংবাদিক বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে সাংবাদিক নাম ও স্টিকার ব্যবহার করে অপকর্ম করছে। এর ফলে মূলধারার সাংবাদিকদের সমস্যা হচ্ছে। গণমাধ্যম আইন করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখেই সরকার সাংবাদিক আইন করতে যাচ্ছে। গণমাধ্যম আইন, যাচাই-বাছাই করে,পরিক্ষা নিরিক্ষার করে মতামত দিয়ে ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রী গণমাধ্যম আইন সাইন করেছেন। এরপর
রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে,পরে সংসদে এই আইন পাস হবে। গণমাধ্যমের সঙ্গে যেসব লোকজন জড়িত আছে তাদের সকলের জন্য এই আইন পাস করা হবে।

তিনি বলেন, প্রেসকাউন্সিলের মেয়াত্তীর্ণ হওয়ায় নতুন করে প্রেসকাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। উন্নত দেশে যেমন মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে তেমনি বিভিন্ন নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। বিশ্বের বড় বড় পত্রিকা আছে যেগুলোও ভুল করলে জরিমানা ও ক্ষমা চাইতে হয়। এসব বিষয়ে প্রেসকাউন্সিল মিমাংসা করে থাকে আমাদের দেশেও প্রেস কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। মূলত গণমাধ্যমকে আরো শক্তিশালি করতে প্রেসকাউন্সিলে করা হয়েছে।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সবহান চৌধুরী, নবনির্বাচিত প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সাবেক বিচার পতি নিজাম উদ্দীন যুগান্তর সম্পাদক জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল,ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরীসহ অনেকেই।

এস/এ