মিনিকেট আর নাজিরশাল বলতে কোন ধান নেই: খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: মিনিকেট আর নাজিরশাল বলতে কোন ধান নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। অনান্য জাতের ধানকে এসব ধানের চাল বলে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। ইন্টারন্যাশনাল নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড উপলক্ষ্যে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘অর্জিনালি মিনিকেট ধান নেই। যে সরু চাল খাওয়া হচ্ছে, সেটা হল জিরাসাইল, শম্পা কাটারি, এ দুই ধানটাই বেশি। এমনকি নাজিরসাইল বলেও কোন ধান নেই।’
”ব্র্যান্ড তারা মিনিকেট বলে চালাচ্ছে। ২৮-কেও মিনিকেট বলে চালায়, ২৯-কেও মিনিকেট বলে চালায়, আর আমরাও (জনগণ) মিনিকেটই খুঁজি।’
এসময় সবাইকে সাদা সচ্ছ চালের পরিবর্তে লাল চাল খাওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, বাজারে মিনিকেট বলে চাল বিক্রি হচ্ছে কিন্তু ধান মিনিকেট নাই বললেই চলে। ২৯, ২৮ এবং নাজিরশাল জাতের ধানকে মিনিকেট বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই গবেষণার ফলাফল আমরা বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি। কৃষি মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দিয়েছি।
গবেষণায় কি পেলেন-জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘ওখানে আমরা এটাই পেলাম, ধান যেটাই উৎপাদন করা হোক না কেন নাম মিনিকেট! এটা তাদের ব্র্যান্ড নাম।’
”আমরা এখন চেষ্টা করবো যে ব্রান্ডিং আপনি যে নামেই করেন না কেন আপনাকে মুল ধানের সোর্স, যদি গরুর মাংস বিক্রি করা হয় তাহলে লিখতে হবে গরু। মহিষের মাংস গরু লিখে বিক্রি করতে পারবেন না। সে কাজটা কিন্তু আমরা করছি।”
এস/এ