বাঙ্গালী জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী

বাঙ্গালী জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক : মঙ্গলবার রাজশাহীতে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম রাজশাহী শাখা কর্তৃক শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন সড়কে মোটরবাইক র্যালী, পথসভা ও মহান শহীদের স্মরণে রাজশাহী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা করে।

দিনব্যাপী এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী,দুর্গাপুর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মুহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ, রাজশাহী বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সমন্বয়ক আখতারউজ্জামান অভি,যুবলীগ নেতা হাবিব, মৎসজীবী লীগ নেতা শওনসহ ফোরামের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

পথসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের পূর্বক্ষণে বুদ্ধিজীবী হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। পাক হায়ানারা বুঝতে পেরেছিল বাঙ্গালি জাতিকে আর ধমিয়ে রাখা যাবেনা। কারণ মুজিব বাহিনীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে হয়েছে ভারতের মৈত্রী বাহিনী বন্ধ করা হয়েছে ভারতের আকাশ পথ। তাই তারা বাঙ্গালির জাতির স্বাধীনতা ও বিজয় সুনিশ্চিত জেনেই এই গণহত্যা সংঘটিত করেছিল। নৃশংস গণহত্যার শিকার হন শিক্ষক,সাহিত্যিক, সংস্কৃতিব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকসহ গুণীজন।

নেতারা আরো বলেন, পাকিস্তান আজও বুদ্ধিজীবী হত্যার দায় স্বীকার করে বাঙ্গালি জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। তাই বাংলাদেশকে ভাবতে হবে পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক রাখাটা কতটুকু যৌক্তিক? পাকিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধে এখনো গভীর ষড়যন্ত্র লিপ্ত। এমনকি তাদের পেতাত্মাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন নামে বেনামে সংগঠন সৃষ্টি করে বাঙ্গালিদের মধ্যে বিভাজন করার অপচেষ্টা করছে প্রতিনিয়ত। ধর্মের নামে করছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং জঙ্গী তৎপরতা। নেতারা পাকিদের এইসমস্ত অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সংগঠনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো পাঁচ লক্ষাধিক মা-বোন ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের শান্তি কামনার মাধ্যমে পথসভাসহ কর্মসূচীর ইতি করে।

এস/এ