৭০ শতাংশ ভ্যাট ছাড় চান রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন বছরের জন্য সব ধরনের মূল্য সংযোজন কর-এ (ভ্যাট) ৭০ শতাংশ ছাড় চান দেশের রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও তারা ৫ বছরের জন্য আয়করেও ছাড় চেয়েছেন।
শনিবার ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানে সিটিং ক্যাপাসিটির ৫০ শতাংশ অতিথিদের জন্য খুলে দেওয়া, ক্রেডিট কার্ডের সুদ ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশনার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়।
রিসোর্ট শিল্পকে বাঁচাতে চিঠিতে ৭টি দাবির কথা উল্লেখ করেছে ট্রিয়াব। এগুলো হচ্ছে-
১. পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে একটি পর্যটন রিকভারি ফান্ড গঠন করা।
২. দেশের ব্যাংকগুলো যাতে কোনো প্রকার গড়িমসি না করে পর্যটন শিল্পের সকল খাত এবং উপখাতে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ প্রদান করে সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থমন্ত্রণালয় থেকে প্রদান করা।
৩. গ্রামীণ পর্যায়ের রিসোর্টে বিশেষ করে এগ্রো-রিসোর্টগুলোতে বিশেষ প্রণোদনা এবং সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ প্রদানের জন্য যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া।
৪. পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত রিসোর্ট, হোটেল, মোটেল এবং রেস্টুরেন্ট, ট্যুর অপারেটরদের ওপর থেকে ন্যূনতম ৩ বছরের জন্য সব ধরনের ভ্যাট ৭০% হ্রাস এবং ন্যূনতম ৫ বছরের জন্য ইনকাম ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
৫. বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব মালিক এবং ফ্রন্ট লাইন সার্ভিস স্টাফদের (যে কোন বয়সের হোক) কোভিড -১৯ এর টিকা দেওয়া।
৬. পর্যটন খাতের উন্নয়নে বিদেশ থেকে ডিউটি-ফ্রি গাড়ি আমদানির অনুমোদনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে নির্দেশনা প্রদান করা।
৭. বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডগুলোর সুদ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য সদয় নির্দেশনা প্রদান করা।
ট্রিয়াব সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ই-মেইলে চিঠিটি দিয়েছি। পাশাপাশি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এনবিআর চেয়ারম্যানকেও চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা বলে, গত বছর প্রায় ৪ মাস এবং এ বছর ২ মাস বন্ধের কারণে এই ব্যবসায় লোকসান আকাশচুম্বী।
তারা বলছেন, দেশের অধিকাংশ রিসোর্ট আয়তনে অনেক বড় জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে। এখানকার প্রতিদিনের পরিচালন ব্যয় দেশের তিন ও চার তারকা আবাসিক হোটেলগুলো থেকে কোনো অংশে কম নয়। গত বছর ৪ মাস ব্যবসা বন্ধ ছিল। রিসোর্ট খোলার পর ২-৩ মাস লোকজন ছিল না। যখনই ব্যবসায় কিছুটা আয় শুরু হলো, তখনই আবার লকডাউন। এবারের ঈদের পরের অধিকাংশ রিসোর্টের রুম বুকিং হয়ে গিয়েছিল। তবে লকডাউনের কারণে সেগুলো বাতিল করতে হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে রিসোর্টে তালা ঝুলাতে হবে।