বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা ও তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে পোশাক ডিজাইনের আহবান প্রতিমন্ত্রীর

বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা ও তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে পোশাক ডিজাইনের আহবান প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, নিজস্ব সৃজনশীলতা ও তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধার মাধ্যমে মানসম্মত পোশাক ডিজাইন ও তৈরি করতে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি প্রাচীন কালে যেমন বাঙালিদের উৎপাদিত পোশাকের জনপ্রিয়তা ছিল, তেমনি বর্তমানেও বাংলাদেশে তৈরি পোশাক বিশ্ব জয় করছে। প্রাচীন কালের মতো বর্তমানেও পোশাক তৈরি ও ডিজাইনে নারীদের রয়েছে ব্যপক অংশগ্রহণ। যা এই সেক্টরকে সমৃদ্ধ করেছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। জয়িতা নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পোশাকও বিশ্ব জয় করবে। দেশ বিদেশে জয়িতার সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। আস্থা ও জনপ্রিয় ব্রান্ড হিসেবে জয়িতা সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিবে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ রবিবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে জয়িতা ফাউন্ডেশনের ১০ম বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান।

তিনি বলেন, বাঙালির নিজস্ব দক্ষতা, নিপুনতা ও সৃজনশীলতা দিয়ে তৈরি মসলিন প্রাচীনকালে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজার জয় করেছিল। ইউরোপের রাজপরিবারের সদস্যদের প্রথম পছন্দ ছিল ঢাকাই মসলিন কাপড়। একইভাবে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য জামদানি। যা আমাদের সাংস্কৃতির সাথে মিশে আছে। জামদানি শাড়ি এখনো মেয়েদের নিকট পছন্দের শীর্ষে। এই জামদানি ও মসলিন কাপড় তৈরিতে নারীদের ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১লা ডিসেম্বর ‘জয়িতা টাওয়ার’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন। যা হবে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের স্থায়ী ঠিকানা। বারোতলা বিশিষ্ট ‘জয়িতা টাওয়ার’ এর অবকাঠামোগত সুবিধা নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। যার ফলে তাদের তৈরি মানসম্পন্ন পোশাকের চাহিদা আন্তর্জাতিক পরিসরেও বৃদ্ধি পাবে। দেশব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পন্য বিপণন ও একক ব্রান্ডিং নেটওয়ার্ক সৃষ্টি ও নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, গত দশ বছরে জয়িতা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। আজ বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তার পেছনে রয়েছে কর্মস্থলে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব সাহিন আহমেদ চৌধুরী। এসময় মন্ত্রণালয় ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং নারী উদ্যোক্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিল।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আল্পনাচিত্রের স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। দুই দিনের এ প্রদর্শনীএ রয়েছে
জয়িতা নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পোশাক ও খাদ্য সামগ্রীর সাতান্নটা স্টল। প্রদর্শনী আগামীকাল বিকাল ৩ টা থেকে ৬.৩০ পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এস/এ