সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে: জিএম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশে এখন আর সুশাসন নেই। সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। সংবিধান অনুযায়ী গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। এরশাদ শাসনামলে গণতন্ত্র মুক্তি পাক বলে দেশের মানুষ শ্লোগান দিতে পেরেছে। দেশের মানুষ এখন কি স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক শ্লোগান দিতে পারে ? এ থেকেই বোঝা যায় দেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্র উপভোগ করতে পারছেন।
আজ শুক্রবার গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজীপুর মহানগর জাপার আহ্বায়ক এম এম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মোশারাফ হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, আব্দুস সাত্তার, শেরিফা কাদের এমপি, মনিরুল ইসলাম মিলন, বেলাল হোসেন, সাহিন আরা সুলতানা প্রমুখ।
জিএম কাদের বলেন, দেশের পরিবহন সেক্টর কে নিয়ন্ত্রণ করছে তা কেউ জানে না। কিছু সমিতি ও ইউনিয়ন পরিবহন সেক্টরকে জিম্মি করে রেখেছে। সরকারের কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা সাধারণ মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে পরিবহন সেক্টরের সাথে আঁতাতের মাধ্যমে। তাই গণপরিবহনে নৈরাজ্য কমছে না।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, প্রতি বছর দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। আমরা বিদেশী সূত্রে জানতে পারছি টাকা পাচারের খবর। দেশের কোন সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করছে না। আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা চাই জাতীয় নির্বাচনের আগেই নির্বাচনী ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই দেশের মানুষ গণতেন্ত্রর প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, এখন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক নেতাই জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগে আর জায়গা নেই, এত নেতা-কর্মীর সংকুলান হচ্ছে না আওয়ামী লীগে। কেউ ইচ্ছে করলেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারছে না। আবার বিএনপির অবস্থা হতাশাব্যঞ্জক। বিএনপিতে চরম নেতৃত্ব সংকট চলছে। দেশের মানুষ বিএনপির ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত। তাই দেশপ্রেমিক ও আদর্শবান মানুষের সামনে জাতীয় পার্টি হচ্ছে একমাত্র রাজনীতির বিকল্প শক্তি ।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯১ সালের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের সাথে কথা রাখেনি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। এক সময় ব্রিটিশরা বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো, তারপর বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো পশ্চিম পাকিস্তান। কিন্তু এখন দুটি দল মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি না করলে কেউ চাকরি পায় না, ক্ষমতাসীন দল না করলে ব্যবসা করতে পারে না কেউ। দেশের মানুষ এখন বলেন, এরশাদের শাসনামলে বেশি সুশাসন ভোগ করেছেন। তাই আবারো তারা জাতীয় পার্টির শাসনামল ফিরে পেতে চায়।
এস/এ