ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ছিলো ইতিহাসের জঘন্যতম আইন: নাছিম
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর জিয়া মোস্তাক গংরা খুনিদের রক্ষা করতে যে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ আইন করেছিলো, তা ছিলো ইতিহাসের জঘন্যতম আইন। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর আজকের এই দিনে সেই জঘন্যতম ইনডেমনিটি আইন জাতীয় সংসদে বাতিল হয়।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে সিনিয়র কৃষিবিদ সন্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিরা চেয়েছিল এই হত্যাকান্ডকে বৈধ করতে। তাই তারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ করে, পরে ১৯৭৯ সালে খুনি জিয়াউর রহমান তা সংবিধানে সংযোজন করে। যার কারণে ৯৬ সালের আগে পর্যন্ত মামলা তো দূরের কথা একটা জিডিও করা যায়নি, তারা চেয়েছিল এই আইনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে মুক্তি দিয়ে দিতে এবং পরবর্তীতে যাতে এর কোন বিচার না হয়।
তিনি আরও বলেন, আজ ১২ ই নভেম্বর, ১৯৯৬ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদে ইনডেমেনিটি আইনটি বাতিল করা হয়, এই দিনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ দিন। বিএনপি সেদিন বিরোধী দলে ছিল, তারা চায়নি এ আইনটি কার্যকর হোক। সে জন্য তারা সেদিন পার্লামেন্ট বর্জন করেছিল এবং সারাদেশে হরতাল ডেকেছিল। কেন তারা উপস্থিত হয়নি এর কি কোনো ব্যাখ্যা আছে তাদের কাছ?
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী শক্তি এখনো বসে নেই। তারা এখনও দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত । তারা এখনো দেশকে চায় পাকিস্তান ও তালেবান রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি করতে, তারাই পূজামণ্ডপে হামলা করে সারাদেশে একটা দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছে।
কৃষিবিদদের উদ্দেশ্য করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, কৃষিবিদদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা সমাজের সকল স্তরে আসা যাওয়া করেন। আপনাদের সজাগ থাকতে হবে,কেউ যাতে দেশের ক্ষতি করতে না পারে।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন এর সভাপতি কৃষিবিদ ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ঢাকা মেট্রোর সভাপতি লিয়াকত আলী জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক তাসদিকুর রহমান সনেট সহ সহস্রাধিক প্রবীণ কৃষিবিদ।
এস/এ