নির্বাচনে বিদ্রোহী হলে আর যাই হোক আ.লীগ করতে পারবেন না
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের মধ্যে থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে আর যাই হোক অন্তত আওয়ামী লীগ করা যাবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। এসময় তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে মেনে নিতে হবে। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই সবাইকে সমর্থন দিতে হবে। বিদ্রোহী হয়ে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেয় না আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। এসময় তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশ নেয়না সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল। নির্বাচনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। আমরা জানি ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশের সাধারন মানুষের ভোটাধিকার। দেশের মানুষের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয়।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আগামী ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে জনগনের ম্যাণ্ডেট নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে চায়, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে চায়। সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ কাজ করছে। এর জন্য দরকার তৃনমুলকে শক্তিশালী করা।
চুয়াডাঙ্গা শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত ওই বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন সাংগঠিনক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠিনক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন এমপি, পারভীন জামান কল্পনা ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি প্রমুখ। সভাটি পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ। এর আগে সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৬ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হলো। এ সভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যেও আগ্রহ ও উদ্দীপনার কমতি ছিল না।
এস/এ