জাগ্রত মুক্তি
শিখা রানী বিশ্বাস
সুশীল তোমরা জাগো
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে
দেখো একবার দেখো,
দেখিতে পাও কিনা আড়ালে লুকিয়ে
অত্যাচারীতার আত্ম চিৎকার
শুনতে পাও কিনা গর্জে ওঠার
কূল বিহীন বাঘিনীর হুংকার
দেখোনিকো তোমার হাতের তালু থেকো মাটিতে পড়ে যাওয়া বিভতস রাস্তার বিকলাঙ্গ সমাজের চেহারা,
যার রন্ধ্রের চারপাশে তাকিয়ে আছে হায়নাদের আঁচড়
হায়রে অভাগা দেশের কলূষিত চেহারা
আর কত লজ্জায় লাল হবি?
এবার জাগ্রত হও!
যারা এই সমাজে আলো ছড়ায় না
তাদেরকে বিকলাঙ্গ করে শুইয়ে রাখো।
প্লাবন কন্যা হও
ভাষিয়ে দিয়ে যাও দুই কূলের যত আবর্জনা
নিরহঙ্কারের স্তুপ তৈরি করো
আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দাও চলার পথের যত সব হুংকারিত ময়লা।
অধ্যূষিত আগুনের ধোঁয়া হয়ে সকল অপসংস্কৃতিকে দম বন্ধ করে মেরে ফেলো!
কফিনে সাজাও বিকলধারার তরী।
দিন ফুরাবে সন্ধ্যা হবে তবু্ও কি তোমার আত্মমর্যাদা বীরোচিত আত্মত্যাগেই বলি দিবে?
তোমাদের দেখলে মায়া হয়
ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হয়
তবুও দিতে পারি না
কারণ তোমরা বিকলাঙ্গ সুশীল।
কিন্তু তারপর ও যখন দেখি
যে করুনা ধারায় তোমরা কাঁদো
সেতো কান্না নয় কেবলই অভিনয়।
তোমাদের কে বাঁচাবে?
কে জাগাবে বিবেক বোধ?
পরদেশী শিকারীরা তোমাদের বাচানোর পরিবর্তে নতুন গর্তের মুখে ফেলে দিবে
তাই সাবধান হও
সাবধান হওয়াই হবে তোমার আত্মমুক্তি।
এস/এ