ঋতুরাণী শরৎ
সুদীপ চন্দ্র হালদার
কেয়া-কামিনী-কাশফুল, মল্লিকা-মালতী-মাধবী’র
প্রস্ফুটনে অপরূপ স্নিগ্ধ রূপ লাবণ্যময় ধরিত্রী;
শিউলি তলায় ভোর বেলাতে শিশির ভেজা দূর্বা ঘাষে শিউলি ফুলের চাদর; ঋতুরাণী তুমি যে শরৎ।
মেঘ বালিকার তর্জন-গর্জনহীন শ্বেত শুভ্র ভেলা,
গাড় নীল আকাশে পশম তুলার শামিয়ানা, সোনার বরণ সূর্য্যির পুবাকাশে উদয়, সবুজ ধানের শিশির বিন্দু যেন হীরকদ্যুতিময়; ঋতুরাণী তুমি যে শরৎ।
খাল-নদীর দুকূলে, বালুর চরে কাশফুলের বাগান,
আমনের মাঠে দোলায়িত হাওয়ার অপরূপ ছন্দ,
বিলের জলে ফোটা লাল-সাদা শাপলার স্নিগ্ধতা,
রক্তিম সূর্য পশ্চিমাকাশে, ঋতুরাণী তুমি যে শরৎ।
মায়ের হাতের তৈরি পাকা তালের পিঠা হাতে,
ছুটছে কিশোর ঠান্ডা-গরম-বৃষ্টি বিহীন খেলার মাঠে,
নৌকাবাইচ দিকে দিকে, গাইতে গাইতে লোক গান
কৃষক চলেছে ধান ক্ষেতে; ঋতুরাণী তুমি যে শরৎ।
ভোরের হিমেল হাওয়া যেন শীতের আমন্ত্রণ বারতা,
বিড়াল-কুকুর-খরগোশের নব পশম আর ভাল্লুকের হাইবারনেশন ঘুমে শীতের প্রস্তুতি, দূরদেশ ছাড়ি অতিথি পাখির শুভাগমন, ঋতুরাণী তুমি যে শরৎ।
করোনাসুর বধে দূর্গা মায়ের আগমনী সুর লহরী,
উৎসবের আমেজে চারিদিকে মহানন্দের বার্তা,
বাঙালি জেগেছে আজি ছাড়ি আড়ষ্টতা, প্রিয়’র
কেনা প্রেমময় বেনারসী, ঋতুরানী তুমি যে শরৎ।।
এস/এ