আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠক আজ, সাংগঠনিক আসছে কঠোর নির্দেশনা
বিশেষ প্রতিনিধি: গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২ মাস পর পর কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগের। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের ৩ অক্টোবরের পর আর কোনো বৈঠক হয়নি দলের। এতে করে সাংগঠনিক গতিশীলতায় কিছুটা স্থবিরতা দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে আমগামী বছর কাউন্সিল, ইউপি, নির্বাচনসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় স্বাস্থবিধি মেনে গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরা হবে গত এক বছরের সাংগঠনিক রিপোর্ট। আলোচনা হবে দলকে আরো শক্তিশালী করতে সারা দেশে সাংগঠনিক সফর বেগবান করার বিষয়ে। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে জেলা-উপজেলায় কোন্দল নিরসনসহ জেলা উপজেলার সম্মেলন নিয়ে বার্তা দেবেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বৈঠক শেষে ৮টি সাংগঠনিক টিম সারাদেশ সফরে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে চলতি কমিটির মেয়াদ। এরআগে কেন্দ্রীয় সম্মেলন হবে কি না সেটিও ঠিক করবেন, দলীয় সভাপতি। সেই সঙ্গে চলতি বছরের মধ্যে তৃণমূলের সম্মেলনগুলো শেষ করার নির্দেশনাও দেবেন শেখ হাসিনা।
দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, আগামী বছর কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও পরবর্তী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। এতে তৃণমূলে দলকে শক্তিশালী করতে ঠিক করা হবে সাংগঠনিক কর্মসূচি। ইউপি নির্বাচনসহ স্থানীয় কোনো নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ বিদ্রোহী প্রাথী হলে, বহিঃস্কার বা বভিষ্যতে কোনো দিন নৌকা পাবেন না, এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। আলোচনা হবে দলের সহযোগী সংগঠনগুলো নিয়েও।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, প্রায় এক বছর পর দলের বৈঠক হচ্ছে। এ বৈঠকে দলের সাংগঠনিক কাঠামো ও সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ দলের সব খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, প্রায় এক বছর পর বৃহস্পতিবার দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। এ বৈঠক থেকে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এরমধ্যে স্থানীয় নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচনে কেউ বিদ্রাহী প্রার্থী হলে তাদের দল থেকে অব্যাহতি বা কোনো দিন নৌকার মনোনয়ন পাবেন না, এমন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
এস/এ