এমাসের পর ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে পারে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

সরকার মন্ত্রী

এমাসের পর ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে পারে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মাসের শেষের দিক থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানামুখি উদ্যোগ এবং জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে এ মাসের পর থেকে আমাদের দেশে এডিস মশা এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

মশা নিধনে সরকার শুধু সিজন আসলেই কাজ শুরু করে এমন অভিযোগ নাকচ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মশার প্রকোপ বাড়লেই শুধু নিধন শুরু হয় এটি ঠিক নয়। সরকার সারা বছর ধরেই মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

‘জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর, মশা নিধন বছর ভর’ এই নীতি অনুসরণ করে মশার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রতি মাসেই সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সভা করে স্ব স্ব দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হয়। এর পর সবাই অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। এ ব্যাপারে কারো অবহেলা করার সুযোগ নেই।

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে কেউ যদি সহযোগিতার জন্য আবেদন করেন তাহলে সেটি অবশ্যই বিবেচনায় নেয়া হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিটি মৃত্যুই অত্যন্ত বেদনাদায়ক যা আমাদেরকে মর্মাহত করে। আমরা কেউ এ ধরণের মৃত্যু চাইনা। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে যারা মারা গেছেন তাদের কোন পরিবার সহযোগিতা চাইলে সেটা আমলে নেয়া হবে।

মশক নিধন এবং পরিচ্ছন্নকর্মীরা নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে অর্থ উত্তোলন করছেন প্রশ্নের উত্তরে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য সুপারভাইজার বা পরিদর্শক অথবা সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ করার জন্য সিটি করপোরেশনকে বলা হয়েছে এবং তারা তা করছে। কেউ যদি এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মৃত্যু নিয়ে তথ্য বিভ্রাট তৈরি হচ্ছে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে যারা আক্রান্ত অথবা মৃত্যুবরণ করছেন তাদের তথ্য নিয়মিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হচ্ছে। একাধিক উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করায় শুধু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নাকি অন্য কোন কারণে মারা গেছেন এগুলো আইইডিসিআর থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়তো একটু সময় লাগতেছে, কিন্তু সব হাসপাতাল থেকে সঠিক তথ্য আসতেছে।

মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কাজ করবে কিন্তু জনসম্পৃক্ততা লাগবেই। সবার অংশগ্রহণ ছাড়া যেকোনো কিছু মোকাবেলা করাই অসম্ভব। তাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এর থেকে উত্তরণ দুরূহ হবে না। আমি আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু থেকে নগরবাসী মুক্তি পাবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিতর্কে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদ প্রদান।
এস/এ