আমি তোকেই বলবো রনেন
—–অনিল সেন
কবিতা আমার রক্তস্রোত
ভাবনার প্রসব; বুঝলি রনেন।
যা বলতে চাস; বলে যা
আমি লিখে যাব ; মনে যা চায়।
মনের আনন্দে দিয়ে যাবো
যা আছে মোর ভগ্নহৃদয়ে
যে পথে পরেনি এখনো পদচিহ্ন
সেই পথেই হাঁটে আমার কবিতা।
রনেন তুই তো জানিস
কবিতা আমার দেহে কাঁটা দেওয়া শিহরণ
শিরায় উপশিরায় সোচ্চার; রক্তবৃষ্টি
শুধুই মানুষ হওয়ার কথা বলে।
এই শহরে কবিতা হওয়া বেসম্ভব রনেন।
আমি যা লেখি তা গ্রাম্য অনুভূতি;
শহুরে নয়; ক্ষ্যাত আইলের কথা
অজপাড়া গাঁয়ের এক চিমটে মাটি আমি।
তুই তো জানিস রনেন
আমার বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা একেবারেই নেই
ওটা ভয়ানক শব্দ; আমার ভীষণ ভয় লাগে
ও যার পোশাক, কী ভাব! অহংবোধ।
তুই কিন্তু ওই শব্দটা নিবি না জীবনে
আমার হৃদয়ের অনুরোধ
কারনটা তুইও জানিস; ধ্বংস।
আমার লেখার প্রতিটি শব্দ ঘুরে বেড়ায়
তোরও চিতাকাশে রনেন।
তিলে তিলে গড়ে তোলা আমার শব্দবান
হয়তো সবার দরকার পরবে না
কিন্তু আমি জানি, তোর পরবে।
আমার অর্জনটুকু অগ্নিকে নিবেদন করেছি রনেন।
আমার বলতে যা বোঝায়
তা আমার অস্পৃশ্য কবিতা।
অগ্নিকে বলেছি, আমার কবিতা ছুইবে না
যদি পুড়তে আসো ; আমি নালিশ করবো।
তুই সবার মতো নোস রনেন
তোর হৃদয় আছে; রক্তকান্না ঝরে
যদি একজন মানুষও
আমার এই অস্পৃশ্য কবিতা গ্রহণ করে
আমি তোকেই বলবো রনেন।।
এস/এ