তালেবান ও ইসলাম’ সমার্থক নয় : অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ বঙ্গবন্ধু চেয়ারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশ তালেবান জঙ্গিদের থাবা থেকে মুক্ত নয়। তালেবান ও ইসলাম সমার্থক নয়। জঙ্গিবাদ নিয়ে আমাদের শংকার কারণ রয়েছে। আমি ভেবেছিলাম ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের সুশীল সমাজ তালেবানদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠবেন। আলোচনা করবেন, লিখনী লিখবেন। কেউ কোথাও কিছু করেননি।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘আফগানিস্তানে জঙ্গি উত্থান বিশ্বের অশুভ সংকেত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন ।
তিনি বলেন, আমার দুইটা লক্ষ একটা ইসলামকে যথার্থ ভাবে অনুসরণ করি। আরেকটা জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা। আমরা এখনই সচেতনতা হই, সর্তক হই। বাংলাদেশ মানুষের দেশ হিসে গড়ে তুলবো অসাম্প্রদায়িক। এখানে ধর্ম থাকবে, ধর্মান্ধতা থাকবে না। ধার্মিক থাকবে কিন্তু জঙ্গি থাকবে না। এই প্রতিজ্ঞা আজ আমাদের করতে হবে। আফগানদের ধর্মচর্চা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আফগানরা ইসলাম গ্রহণ করতে চায়নি। অনেক চেষ্টা তদবির করে ইরানী সুফি সাধকরা ক্রমাগতভাবে আফগানে ইসলাম নিয়ে এসেছেন। আফগানরা যখন ইসলাম গ্রহণ করেছে, নিজেদের মত করে গ্রহণ করেছে। গোত্রভিত্তিক ইসলামি চেতনা লালন করেছে। আফগানরা গোত্র চেতনায় এক গোত্র আরেক গোত্রের সঙ্গে নামাজও পড়ে না, খায়ও না তবে যুদ্ধ করে এক সঙ্গে।
ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, তালেবানদের বিরুদ্ধে আফগান নারীরা পুরানো আমলের পতাকা নিয়ে বেরিয়ে এসেছে, এ ছবিও আমরা দেখেছি। একজন নারীর বোরকা ছিলো না, গুলি করে মেরেছে তালেবান। কোরআন-হাদিসের কোথায় নির্দেশ আছে, হিজাব-নিকাব, বোরকা পরতে হবে; শালীনতার বাহিরে। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল বলেছ, ‘ইসলাম সেতো পরশ মণি, কে পেয়েছে খুঁজে’। আজকে পর্যন্ত কেউ খুঁজে পায় নি। ইসলামকে তালেবানরা খুঁজে পাবে না।
বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্টি ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীর সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, বিশিষ্টি ইসলামি চিন্তা বিদ আল্লামা এটিএম ফরহাদ, মাওলানা মহিউদ্দিন খান ফারুকী, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আব্দুল আজিজ, তসলিম উদ্দিন রানা, সন্তোষ দাস গুপ্ত, বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্টি ফোরামের সমন্বয়ক শেখ জনি ইসলাম, সাংবাদিক রাহাত হুসাইন প্রমুখ।
এস/এ