খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, বিচারপতি সাত্তারও জিয়ার লাশ দেখেনি, ভূতে দেখেছে কিনা জানি না
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, মিথ্যা আর অসত্যের ওপর রাজনীতি করে বেশি দিন ঠিকে থাকা যায় না। এটিই হচ্ছে ইতিহাসের শিক্ষা। তারা অসত্য ও মিথ্যাচারের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এলে হয়তো এখন যে অবস্থা সেটা থেকে মুক্তি পেতে পারে বিএনপি।
শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত ১৫ ও ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা একটি সত্য কথা বলেছেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে আসলে জিয়াউর রহমানের কোনো লাশ নেই। সেটি যখন প্রধানমন্ত্রী বললেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটা বক্তব্য দিয়েছেন, অবশ্য সেটা না দিলে তার মহাসচিব পদ থাকে কিনা সেটাও একটা ব্যাপার আছে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নে নাকি জিয়াউর রহমানকে প্রথম কবর দেওয়া হয়েছিল। সেখানেও জিয়াউর রহমানকে কবর দিতে কেউ দেখেনি, একটা বাক্স দেখেছিল।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা ক্রমাগতভাবে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করে আসছে। তারা একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্টা চালান। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবরে যান তারা। কোন সময় কার বিয়ে ও কর্ণছেদন অনুষ্ঠান উপলক্ষে তারা জিয়াউর রহমানের কবরে যান, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। সেখানে গিয়ে আবার তারা মারামারি করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৫১ সালে কমরেড মণিসিংকে চিঠি লিখেছিলেন, আমি পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার পরিকল্পনা করছি। আপনারা আমার সঙ্গে থাকবেন কিনা। এনিয়ে তিনি কারাগারে বৈঠকও করেছেন। এটি কমরেড মণিসিংয়ের বক্তব্য। যেটি তৎসময়ে দৈনিক ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপানো হয়েছে। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখতে পাই, অনেক বাঙালি নেতা বাঙালির স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করেছেন। কাজ হয়নি। বঙ্গবন্ধু ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জিবীত করেছিলেন। ৩০ লক্ষ মানুষ রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে।
উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, দেবাশীষ পালিত, জসিম উদ্দিন শাহ, শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, গিয়াস উদ্দিন, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খাঁন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এস
