বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অসম্পূর্ণ বিচার দন্ডবিধি সম্পন্ন করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, সেদিন যারা ষড়যন্ত্রে জড়িত ও জেনেছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেননি, দেশের দণ্ডবিধি অনুসারে তারাও অপরাধী। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে নিরাপত্তা দেওয়া যাদের দায়িত্ব ছিল। যারা রাজনৈতিক দায়িত্বে ছিলেন, তাদের গাফিলতির কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। গাফিলতির দায়ে তাদেরও বিচার হওয়া দরকার ছিল। যারা খন্দকার মোশতাকের আনুগত্য প্রকাশ করে নিজে লাভবান হয়েছিলেন, তারাও অপরাধী। কমিশন গঠন করে অথবা ফৌজধারী কার্যবিধি অনুসারে নতুন চার্জশীট দিয়ে অসম্পূর্ণ বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর খুনি বা ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করতে আইনে কোথাও কোনো বাধা নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসলে কোনোদিন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না। তাই নতুন করে সূচনা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন। তিনি বিশ্বাস, দৃপ্ত প্রত্যয় ও প্রেরণা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় জীবনের সবকিছুতে অবিচ্ছেদ্য সত্তা।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যেখানে সূচনা করেছেন, সেটাই সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু প্রথম সমুদ্র আইন করেছিলেন। এ ধারাবাহিকতায় তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশর প্রায় সমপরিমাণ জায়গায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধু মাছ আহরণের জন্য প্রথম ট্রলার নিয়ে এসেছেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে। বঙ্গবন্ধু যা শুরু করেছিলেন সেটা সুপ্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশেনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ প্রমুখ।
এস