খাল খনন না করায় ঈশ্বরগঞ্জের ৪শ একর জমি অনাবাদীর শস্কা
মো. সেলিম, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আড়াই কিলোমিটার খাল খনন না করায় ৪ গ্রামের ২শতাধিক কৃষকের ৪শ একর জমি অনাবাদী থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ৬শ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হবেন কৃষকরা। দীর্ঘদিন খালটি খনন না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা।
সরেজমিন, বড়হিত ইউনিয়নের গুজা বিল এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, গুজা বিল থেকে কাতলা বিল পর্যন্ত মাত্র আড়াই কিলোমিটার খাল খনন করা হলে বেঁচে যাবে ফসলি জমি ও সবজি ক্ষেত।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৪০বছর পূর্বে খালটি খনন করা হলেও পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে খালটি খননের জন্য ১শ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকপ্লের নামমাত্র লোক দেখানো কাজ করে। যার ফলে খাল খননের বাস্তব কোন সুফল পায়নি এলাকাবাসী।
বর্তমানে খালটির দু’পাশের জমি মালিকরা খাল ভরাট করে পানি প্রভাহের পথ রোধ করে দিয়েছে। অনেকেই আবার পুকুর খনন এবং গাছ লাগিয়ে খালটির প্রশস্ততা কমিয়ে ফেলেছে। এতে অস্থিত্ব বিলিনের পথে শতবর্ষী ওই খালটি।
স্থানীয় একধিক কৃষক জানান, খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের পানি প্রভাহিত হতে না পারায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বিলের পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে কৃষকরা জমিতে ধান রোপণ করতে পাড়ছেনা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজনুল হক আকন্দ জানান, বড়হিত ইউনিয়নের কাঠাল ডাংরি, বড় ডাংরি, ফেড়ি নারায়ণপুর, দত্তের ডাংরি, এলাকার প্রায় দু’শতাধিক কৃষকের ৪শএকর জমি বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার কারণে রোপা আমন ধান ও মৌসুমি শাক-সবজি উৎপাদন করতে পাড়ছেন না।
স্থানীয় কৃষক ইন্নছ আলী, আইন উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, সহ অনেকেই জানান, ৪ গ্রামের বিলের পাশের জমি গুলোতে অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে জলাবদ্ধতায় ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে পানি জমে থাকায় নতুন করে দ্বিতীয় বার ধান রোপণ করতে পাড়ছে না। জমির রোপন করতে না পাড়লে প্রায় ৬শ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হবেন তারা। তারা অভিযোগ করে জানান, এ সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রসাশনকে বারবার অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওই এলাকার পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অভহিত করা হয়েছে।
এস/এ