বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সম্পৃক্ততার ইতিহাস প্রকাশ পেলে বিএনপি নেতাকর্মীরাও লজ্জিত হবেন

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সম্পৃক্ততার ইতিহাস প্রকাশ পেলে বিএনপি নেতাকর্মীরাও লজ্জিত হবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যান্য কুশীলবদের মুখোশ ধীরে ধীরে উন্মোচিত হবে। যখন ইতিহাস পরিপূর্ণভাবে উন্মোচিত হবে জিয়াউর রহমান কিভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে বর্ণচোরা ভূমিকা পালন করেছিল। কিভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত ছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের উৎসাহ দিয়েছিল এবং পুণর্বাসিত করেছিল। এই সত্যগুলো ক্রমাগতভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার হয়ে রণাঙ্গণে যুদ্ধ করে আর তার স্ত্রী-পুত্রদেরকে পাকিস্তানি আর্মি একেবারে আদর যত্ন করে ক্যান্টনমেন্টে রাখে, এটি কখনো সম্ভব না। জিয়ার কাছে লেখা কর্ণেল বেগের চিঠিতেই প্রমাণিত হয় মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকাটা কি ছিল।

মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএফডিসি শুটিং ফ্লোরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সমিতিসমূহ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। তাদের সঙ্গে যোগসাজসে, বাংলাদেশের অনেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধাচারণ করেছে। পাকিস্তানিদের পক্ষাবলম্বন করে অস্ত্র ধারণ করেছে। এই বর্ণচোরা শক্তি মিলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। সেই বর্ণচোরা শক্তির মধ্যে ছিল খন্দকার মোশতাক আহমেদ, জিয়াউর রহমান। কারণ জিয়াউর রহমান ২৫ মার্চ সোয়াচ জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করছিল। পরে যখন বাধা দেওয়া হয়, সে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর করলেখা পাহাড়ে চলে যায়।

বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, সচিব মো. মকবুল হোসেন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সাধারণ সম্পাদক শাহিন সুমন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান প্রমুখ।
এস/এ